ঢাকা: বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলো তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সর্তকবাণী প্রদান বাধাগ্রস্ত করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র (ডিআরইউ) ছোট মিলনায়তনে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সহযোগিতা করেন একলাব, এইড, নাটাব, টিসিআরসি ও ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) সংশোধিত আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী আগামী ১৯ মার্চ থেকে সচিত্র স্বাস্থ্য সর্তকবাণী সম্বলিত প্যাকেট ব্যতীত কোন তামাকজাত দ্রব্য বাজারজাত ও বিক্রয় করা যাবে না।
আইন অনুযায়ী জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর ইলেট্রনিক কপি সকল তামাক কোম্পানিকে আইনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের নির্দেশনা প্রদান করেছে।
কিন্তু বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলো তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে এ সর্তকবাণী প্রদানের বিষয়টি বাধাগ্রস্ত করতে নানা বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা ও নানা ধরণের অপকৌশল প্রয়োগের চেষ্টা করছে।
অথচ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী এ ধরণের বিভ্রান্তি সৃষ্টির কোন অবকাশ নেই। কারণ বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার আলোকে এবং একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে সংশোধিত আইনে তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সচিত্র সর্তকবাণী প্রদানের বিধান যুক্ত করেছে।
মাহবুবুল আলম আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে তার সরকারের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিফলন জাতি দেখতে পাবে বলে আশা করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সৈয়দা অনন্যা রহমান, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের জেনারেল সেক্রেটারি হেলাল আহমেদ, দ্য ইউনিয়নের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার সৈয়দ মাহবুবুল আলম, নাটাব এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার একেএম খলিল উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৬
আরইউ/একে/আরআই