ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বরিশালে এসএমই মেলায় বাড়ছে দর্শক-ক্রেতা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৬
বরিশালে এসএমই মেলায় বাড়ছে দর্শক-ক্রেতা ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বরিশাল: বরিশাল নগরীতে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) পণ্য মেলায় দর্শক-ক্রেতাদের উপস্থিতি বাড়ছে।   
 
রোববার (১৩ মার্চ) মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, ব্যস্ত নগরবাসীর পদচারনায় মেলা প্রাঙ্গণ মুখর হয়ে রয়েছে।

কেউবা মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখছেন, কেউবা পছন্দ হলে পণ্য ক্রয় করছেন।  
 
তবে, বরিশালে এ মেলা প্রথমবারের মতো আয়োজিত হওয়ায় মেলায় ক্রেতার চেয়ে কৌতূহলী দর্শকদের ভিড় বেশি।
 
আর এ কারণে অন্যান্য জায়গার মতো এখানে বেচা-বিক্রি তেমন একটা ভালো না বলে জানালেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীরা।

মাঝে-মধ্যেই এ ধরনের মেলার আয়োজন করলে ক্রেতার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতি বাড়বে বলে মনে করছেন অনেকেই।
 
মেলার ৫৬ স্টলের মধ্যে ২/১টি স্টল ফাঁকা রয়েছে। বাকি সবগুলোতেই পণ্য তুলেছেন ব্যবসায়ীরা।
 
রাজশাহী বিভাগের ১৭ ব্যবসায়ীর আধিপত্য যেন পুরো মেলায়। তাদের দখলে মেলার অধিকাংশ স্টল। তাদের পণ্যের মধ্যে বাহারি ধরনের নকশি কাঁথা, মেয়েদের টু-পিস, থ্রি পিস, হস্ত ও কুটির শিল্পসহ ঘর সাজানো ও সাংসারিক নানা উপকরণ।
 
বরিশালের আঞ্চলিক পণ্যের মধ্যে বাঁশ-বেতের শো-পিস থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন মেলায় স্থান পেয়েছে।  

এছাড়া, মেলায় পোশাক ও খাবারের স্টল রয়েছে। আবার কোনো কোনো স্টলে রয়েছে বিভিন্ন ডিজিটাল ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সমারোহ।  
 
মেলার সার্বিক নিরাপত্তায় প্রবেশ পথে নিরাপত্তা গেট ও পুলিশ-আনসার বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন।
 
আগত ক্রেতা ও দর্শকদের জন্য প্রতিদিন সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।  
 
রাজশাহী নকশি ঘরের স্বত্বাধিকারী পারভিন আকতার বাংলানিউজকে জানান, শুরুর দিক থেকেই তিনি এসএমই মেলায় অংশগ্রহণ করছেন। তবে বরিশালে এ মেলায় প্রথম বারের মতো তিনি এলেন।

তিনি জানান, প্রথমবারের আয়োজন হিসেবে নিরাপত্তা ও সার্বিক দিক থেকে অবস্থান ভালো হলেও ক্রেতারা তেমন একটা পণ্য কিনছেন না। মেলায় যারা আসছেন তাদের মধ্যে দর্শকই বেশি। যার কারণে তার পণ্য বিক্রির টার্গেটও পূরণ হচ্ছে না।
 
তবে শেষ দিনে এ পরিস্থিতি ঘুরে দাঁড়াতে পারে বলে জানিয়ে অন্য কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীরা জানান, মানুষ দেখছে, বিভিন্ন পণ্যের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করছে, তবে ক্রয় করছে কম। মেলা প্রাঙ্গণে সার্বিক দিক ভালো হলেও মালামাল আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে।
 
এসএমই ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম অফিসার আব্বাস আলী বাংলানিউজকে জানান, প্রথম দিনে আমরাও বেশ হতাশ ছিলাম। তবে ১১ মার্চ থেকে মেলার দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। মানুষ আসছে, বিক্রিও বাড়ছে।

বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) থেকে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এ মেলা চলছে। সোমবার (১৪ মার্চ) পর্যন্ত এ মেলা চলবে।   
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৬          
এমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।