ঢাকা: নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মুস্তাফা কামাল। কেননা, এ তিন প্রকল্পের মধ্যে দু’টির পাঁচ বছরে অর্ধেক অগ্রগতিও হয়নি।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন নিয়ে আয়োজিত সভায় পরিকল্পনামন্ত্রীর অসন্তোষের বিষয়টি উঠে আসে। বৈঠকটি ইসি’র সভাকক্ষে ইসি সচিব সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে জানা গেছে, এতে অংশ নিয়ে সরকারের বাস্তবায়ন পরীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সহকারী পরিচালক মিল্টন বিশ্বাস মন্ত্রীর অসন্তোষের কথা জানান।
ইসি’র বর্তমানে চলমান গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প তিনটির একটি হলো ইআরসি প্রকল্প। যা ২০১১ সালে ইসি’র নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য ১৮ হাজার ৪৮৪ লাখ টাকার প্রকল্প। এতে ইলেকশন ট্রেনিং সেন্টার (ইটিআই) এবং বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন (বিইসি) নামে দু’টি আলাদা ভবন রয়েছে।
কিন্তু বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে জানা গেছে, ইআরসি প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে ৪৮ দশমিক ১ শতাংশ।
অন্য বড় প্রকল্পটি হচ্ছে আইডিইএ। দেশের নাগরিকদের উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ড দেওয়ার জন্য ১৭০ মিলিয়ন ডলারের এ প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয় ২০১১ সালে। কিন্তু এর বাস্তবায়ন হয়েছে মাত্র ৩৩ দশমিক ৩২ শতাংশ।
আরেকটি বড় প্রকল্প হচ্ছে ‘কনস্ট্রাকশন অব সার্ভার স্টেশন ফর ইলেক্টোরাল ডাটাবেজ বা সিএসএসইডি প্রকল্প। ২০০৮ সালে জাতিসংঘের সহায়তায় তৎকালীন এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন এটি হাতে নেয়। সে সময় ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতায় এ প্রকল্পটির বেশ দ্রুত অগ্রগতি হয়। মূলত আনোয়ার চৌধুরীর ‘ব্রেন চাইল্ড’ ছিলো এ প্রকল্পটি। স্থানীয় পর্যায়ে ভোটার তালিকা প্রণয়ন থেকে শুরু জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের মাধ্যমে নাগরিক সেবা জনগণের দোরগোড়ায় নেওয়াই ছিলো এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।
কিন্তু আট বছরে এ প্রকল্পটির অগ্রগতি হয়েছে ৯১ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
কার্যবিবরণীটি প্রস্তুত করেছেন ইসি’র জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রধান মো. সাইফুল হক চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৬
ইইউডি/এএসআর