<< আগের অংশ: মা ইলিশ রক্ষা অক্টোবরে
প্রধান শত্রু হিসেবে তিনি চিহ্নিত করলেন জাটকা নিধনকারী কারেন্ট জালকে। এই জালে ছোট বড় সব মাছ আটকে যায়।
জাটকা জাল তৈরির কারখানা নরসিংদী ও মুঞ্জিগঞ্জ জেলায়। সেগুলো গত বছর চিহ্নিত করে ছিলগালা করে দেওয়া হয়েছিলো, কিন্তু ফের চালু হয়ে গেছে, জানালেন এই মৎস্য কর্মকর্তা।
আর জাটকা নিধনকারী যাদের তারা আটকাতে পারেন তাদের মধ্যে সাধারণ জেলেও রয়েছে। এরা গরীব জেলে ফলে আটকে রেখেও খুব একটা লাভ হয় না। অনেককেই সামান্য জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ইলিশ ধরার মূল জাল সান্ধি। এই জালগুলোও এক থেকে দেড় কিলোমিটার লম্বা করে নদীতে ফেলা সম্ভব। তবে এই জালে কোনই জাটকা বা ছোট মাছ আটকায় না।
জেলেদের মধ্যে সান্ধি জাল ব্যবহারের প্রবণতা যত বাড়বে ততই ইলিশ রক্ষা পাবে। এই প্রবণতা এখন বাড়ছে বলেই উল্লেখ করলেন বিমল চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, সান্ধি জাল ব্যবহার করলে স্রেফ মা ইলিশ নিধন বন্ধের মওসুমটুকু ছাড়া সারা বছরই জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে পারে। তাতে তাদের কেউ আটকাবে না। মার্চ-এপ্রিলেও তারা ধরতে পারবেন। কিন্তু জাটকা নিধনকারীদের কারণে নিষেধাজ্ঞা সবার ওপর প্রযোজ্য হয়ে যায়।
বিমল চন্দ্র বলেন, বরিশাল অঞ্চলে দশ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি দেখেছেন, এখানে অনেক জেলের জীবীকার একমাত্র পথই এই মাছ ধরা। তাই বন্ধ মওসুমে তারা কষ্টে থাকে। এদের বিকল্প কর্মসংস্থান জরুরি।
আর সান্ধি জালে মাছ ধরলেও এদের জীবন চলতে পারে। নদীতে একটি দুটি বড় মাছ ধরা পড়লে তাতেও এক হাজার টাকা আসে। যা দিয়ে দুটি সংসারের দিন চলে যায়। তবে মওসুমে মাছ বাঁচতে দিলে, মা মাছকে ডিম ছাড়তে দিলে আর জাটকাগুলোকে বড় হতে দিলে একটা সময় আসবে যখন সারা বছরই কম বেশি বড় মাছ ধরা পড়বে। একদিন দেশে সেই দিন আসবে সে স্বপ্নই দেখেন ইলিশ কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র দাস।
প্রথম থেকে পড়তে>> ৩৫০ বর্গ কিলোমিটারের ইলিশে দেশ চলবে
বাংলাদেশ সময় ০৯২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৬
এমএমকে