ঢাকা: বিদ্যুৎ, যোগাযগের উন্নয়ন, বাংলাদেশের সুষম উন্নয়ন, উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জন, দারিদ্র্য নিরসন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আয় বৈষম্য দূরীকরণ, কৃষি উন্নয়ন ও রফতানি প্রসারে আগামী অর্থবছরের মূল বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে(এডিপি) দেড় হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ খাতে তিন হাজার কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সব মিলিয়ে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য মূল এডিপি’র আকার দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৭০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৪০ হাজার কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) শেরে বাংলানগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।
এর অাগে আগামী ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ১ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা রাখার প্রস্তাব করে পরিকল্পনা কমিশন।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বাড়তি আবেদনের ওপর নির্ভর করে প্রধানমন্ত্রী বাড়তি বরাদ্দ দেন। তবে স্বায়ত্ত্বশাসিতসহ মোট উন্নয়ন বাজেট ১ লাখ ২৩ হাজার ৩৪৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
২০২১ সালে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ খাতকে গুরুত্ব দিয়ে ১২ হাজার ৫৪০ কোটি ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব করেছিল পরিকল্পনা কমিশন। তবে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরও তিন হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে ১৫ হাজার ৫৪০ কোটি ৯ লাখ বরাদ্দ দেওয়া হয়।
যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও পদ্মাসেতুর গুরুত্ব বিবেচনায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে পরিবহন খাতে মোট ২৮ হাজার ৫০২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, যা মোট এডিপি’র ২৬ দশমিক ০১ শতাংশ।
এছাড়া শিক্ষা ও খর্ম খাতে ১৪ হাজার ৪৫৭ কোটি ৩৯ লাখ, ভৌত খাতে ১২ হাজার ৯৭১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনতে পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী প্রতিষ্ঠান খাতে ৮ হাজার ৯৮৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ৬ হাজার ৯৭৯ কোটি টাকা এবং কৃষি খাতে ৪ হাজার ৯৯১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞান ও তথ্য খাতে ৩ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা, পানিসম্পদ খাতে ৩ হাজার ৩৭৮ এবং জনপ্রাশাসন খাতে ২ হাজার ৯৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, যোগাযোগ, শিক্ষা, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্যসহ দেশের সার্বিক গুরুত্বপূর্ণ খাতকে গুরুত্ব দিয়ে আগামী নতুন অর্থবছরের জন্য ১ লাখ ২৩ হাজার ৩৪৫ কোটি ৮০ লাখ টাকার এডিপি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আমাদের একটাই লক্ষ্য, দ্রুততম সময়ে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছাতে চাই। প্রকল্পগুলোতে যথাযথভাবে এডিপি’র টাকা খরচ করতে পারলে আমাদের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ’।
‘বিশেষ ইকোনোমিক অঞ্চল এবং বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে পারলে আমাদের প্রবৃদ্ধি ভালো হবে। সরকার দেশের উন্নয়ন নানা মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যে কারণে এডিপি’র আকারও রেকর্ড পরিমাণ হয়েছে’।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর