ঢাকা: পবিত্র রমজান উপলক্ষে সারা দেশের ১৭৪টি পয়েন্টে টিসিবি ট্রাক বসাবে। যেখানে চিনি, মসুর ডাল, ছোলা, সয়াবিন তেল ও খেজুর সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হবে।
রাজধানী ঢাকার ২৫টি পয়েন্টে, চট্টগ্রামের ১০টি, অন্য বিভাগীয় শহরে ৫টি করে ট্রাক বসবে। এছাড়া জেলা শহরে দু’টি করে মোট ১৭৪টি স্থানে অস্থায়ীভাবে ট্রাক বসিয়ে স্থানীয় বাজারের তুলনায় কিছুটা কম দামে পাঁচটি পণ্য বিক্রি করা হবে বলে জানান টিসিবি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।
তিনি বলেন, রমজান উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে খোলা বাজারে পণ্য দেওয়া হয় ডিলারদের চাহিদা অনুযায়ী। স্থানীয় বাজার থেকে সয়াবিন তেল, চিনি, মসুর ডাল, ছোলা ও খেজুর সংগ্রহ করে দেওয়া হবে।
রমজান উপলক্ষে পাচশ’ মেট্রিক টন সয়াবিল তেল, ১ হাজার ৫শ’ মেট্রিক টন ছোলা খোলা বাজারে ছাড়া হবে। এছাড়া চিনি, মসুর ডাল ডিলারদের চাহিদা অনুযায়ী দেওয়া সম্ভব বলে জানিয়ছেন হুমায়ুন কবির।
তিনি বলেন, খেজুর স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহ করে দেওয়া হবে। রমজানের প্রথমে ও শেষ দিকে খেজুরের চাহিদা থাকে। এই পণ্য সরবারহে কোনো সমস্যা হবে না। ইতোমধ্যে স্থানীয় বাজার থেকে খেজুর সংগ্রহ করে তা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে খোলা বাজারে সয়াবিন তেলের দাম দীর্ঘদিন ধরে কম। যে কারণে রমজান উপলক্ষে টিসিবি’র খোলা বাজারে তেলের সংকট হবে না বলেও জানিয়েছে টিসিবি।
ডাল, তেল ও চিনি সারা বছর টিসিবি খোলা বাজারে দিয়ে থাকে। এজন্য এসব পণ্যের চাহিদা কম। আর চাহিদা কম থাকায় রমজানে দাম কম থাকবে- বলেন হুমায়ুন কবির।
তবে স্থানীয় বাজারের সঙ্গে দামের সমন্বয় করে রমজানের তিনদিন আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় টিসিবি’র সকল পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেবে। আর সেসব পণ্যের দাম বাজারের থেকে কম হবে টিসিবি থেকে জানানো হয়।
গত বছরের চেয়ে এ বছরে কি টিসিবি’র পণ্যের দাম কম না বেশি হবে?- এমন প্রশ্নের জবাবে হুমায়ুন কবির বলেন, রমজানের আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সকল পণ্যের দাম নির্ধারণ করবে। এর আগে দামের বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।
রমজান উপলক্ষে খোলা বাজারে পণ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে কি ধরনের টার্গেট রয়েছে? জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সব ডিলারদের জন্য একই পণ্য নির্ধারণ এবং সকল ট্রাকে একই পরিমাণে পণ্য দেওয়া হয়।
রমজানকে কেন্দ্র করে বাজারে সকল পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে দুই মাস আগে থেকে। এ বিষয়ে টিসিবি কোনো পদক্ষেপ নেবে? এমন প্রশ্নের জবাবে টিসিবি চেয়ারম্যানের পিএ ও জনসংযোগ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং সেল ও পূর্বাভাস সেল বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছয়টি প্রতিষ্ঠান এককভাবে কাজ করে।
দেশের মানুষের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য টিসিবি সরবরাহ করতে পারবে কি? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২ হাজার ৯শ’ ৫২ ডিলারের চাহিদা অনুযায়ী আমরা কাজ করি। তাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য দিয়ে থাকে টিসিবি। আর রমজানে ডিলারদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য দিতে পারবে টিসিবি।
তিনি বলেন, টিসিবি’র কোলেস্টেরল নেই। এজন্য স্থানীয় বাজার থেকে সকল পণ্য সংগ্রহ করে দিতে হয়। জরুরি প্রয়োজনে সাতদিনের নোটিশে স্থানীয় বাজার থেকে পণ্য সংগ্রহ করা যায়। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজার থেকে পণ্য সংগ্রহ করতে তিনমাস সময় লাগে। আর টিসিবি এবারের রমজান উপলক্ষে সকল পণ্য ডিলারদের চাহিদা অনুযায়ী দিতে পারবে, কোনো সমস্যা হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৬
এফবি/এএসআর