ঢাকা: ‘বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে আয়কর দেয় মাত্র ১১ লাখ মানুষ। সামাজিক নিশ্চয়তা প্রদান করে তা ২/৩ কোটিতে উন্নীত করা যায়’ বলে উল্লেখ করলেন ডেভলপমেন্ট সেন্টার ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক ফখরুল ফেরদৌস।
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ইক্যুইটি অ্যান্ড জাস্টিস ওয়ার্কিং গ্রুপ বাংলাদেশ (ইক্যুইটিবিডি) আয়োজিত ‘অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ বনাম দারিদ্র বান্ধব রাজস্ব আদায় কৌশল’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।
তিনি আরো বলেন, কর আদায় করার উদ্দেশ্যই হচ্ছে বাজেট বাস্তবায়ন করা। কিন্তু দেখতে হবে কর আদায় করে যে বাজেট তৈরি করা হয় তা দারিদ্র বান্ধব কিনা।
তিনি বলেন, ‘বাজেটে প্রত্যক্ষ করের অবদান মাত্র ২২ শতাংশ। বাকি ৭৮ শতাংশ পরোক্ষ কর। পরোক্ষ কর যত বাড়বে দরিদ্র মানুষ তত দরিদ্র হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। ’
তাই তিনি প্রত্যক্ষ করের আওতা বৃদ্ধি এবং পরোক্ষ কর হ্রাস করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বলেন, মানুষ আয়কর দেয় দুর্নীতিমুক্ত থেকে স্বাচ্ছন্দে জীবনযাপন করার অধিকার ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, সামাজিক নিরাপত্তাই যদি নিশ্চিত করতে না পারে তবে মানুষ আয়কর দেবে কেন।
সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ডা: রশিদ-ই মাহবুব, মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি, মো:তাজুল ইসলাম এমপি, অর্থমন্ত্রাণলয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মো: আলী প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে যে ভ্যাট হার বিদ্যমান রয়েছে তা অনেক উন্নয়নশীল দেশের চাইতে বেশি। সরকার ভ্যাট সংশোধন করে তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার যে চেষ্টা করছে তা নি:সন্দেহে দরিদ্র মানুষের জীবন যাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
দুর্নীতির পরিমাণ হ্রাস করতে কর ভিত্তি সনাক্তকরণ, কর নিরূপন ও কর আদায়ের জন্য আলাদা ইউনিট গঠনসহ কর ন্যায়পালের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সভায় বক্তারা সরকারকে আহবান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১১