ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

শুল্ক গোয়েন্দার মামলা

ফিউচার এক্সেসরিজের শুল্ক ফাঁকি তিন কোটি টাকা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৩ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৬
ফিউচার এক্সেসরিজের শুল্ক ফাঁকি তিন কোটি টাকা

ঢাকা: শুল্কমুক্ত সুবিধায় ডুপ্লেক্স বোর্ড ও আর্টকার্ড বোর্ড আমদানি করে তা খোলাবাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে মেসার্স ফিউচার এক্সেসরিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে।
 
সোমবার (২০ জুন) প্রায় তিন কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।


 
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বাংলানিউজকে জানান, গত ২৪ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত আটটি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ৪২৬.৬৪৯ মেট্রিক টন আর্টকার্ড ও ডুপ্লেক্স বোর্ড আমদানি করেছে ফিউচার এক্সেসরিজ।
 
এসব কাঁচামাল বন্ড রেজিস্ট্রারে এন্ট্রি না করে খোলা বাজারে বিক্রি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ৬ এপ্রিল বেনাপোল কাস্টম হাউজে আমদানিকৃত ১০০ মেট্রিক টন ডুপ্লেক্স বোর্ড জব্দ করা হয়।
 
ড. মইনুল খান জানান, রেজিস্ট্রারে উল্লিখিত কাঁচামালের মজুদ ও সরেজমিনে পরিদর্শনে মজুদ ৫৯৭.৪৮৭ মেট্রিক টন কাঁচামালের মধ্যেও ঘাটতি পাওয়া যায়।
 
এসব কাঁচামালও খোলা বাজারে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তদন্তকালে প্রতিষ্ঠানের মেশিনারিজের সংখ্যা ও ক্যাপাসিটির মধ্যে ব্যাপক গরমিল পাওয়া যায়।
 
ফ্যাক্টরিতে ৯ সেট মেশিনের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ৬০ শতাংশ হিসাবে ৩৪৬৩.২ মেট্রিক টন হলেও  বন্ড কমিশনারেট থেকে অনুমোদন আছে ৫৭৬০ মেট্রিক টনের।
 
অবশিষ্ট ২২৯৬.৮ মেট্রিক টন কাঁচা মাল অতিরিক্ত পাওয়া যায়। এ অতিরিক্ত প্রাপ্যতার কারণে প্রতিষ্ঠানটি বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করে খোলাবাজারে বিক্রির সুযোগ পায়।
 
গত ২০ এপ্রিল বন্ডেড ওয়্যারহাউস তদন্তকালে কাঁচামালের পরিবর্তে কাঠের ক্যারেট লুকায়িত অবস্থায় পাওয়া যায়। কাঁচামাল বিক্রির কৌশল এটি।
 
বেনাপোলে খালাসের জন্য অপেক্ষমান ১০০ মেট্রিক টনসহ সর্বমোট ১১২৪ মেট্রিক টন বন্ডেড আর্টকার্ড ও ডুপ্লেক্স বোর্ড আমদানি করে খোলা বাজারে বিক্রি করেছে ফিউচার এক্সেসরিজ।
 
এ কাঁচামালের শুল্কায়ন যোগ্য মূল্য ৫ কোটি ৫১ লাখ ৫৬ হাজার ৯৬৭ টাকা ও শুল্ক ফাঁকি ২ কোটি ৯৪ লাখ ২৬ হাজার ২৩৯ টাকা।
 
প্রতিষ্ঠানটির জয়েন্ট স্টক কোম্পানি লাইসেন্সে ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে আরমান উদ্দিন ও চেয়ারম্যান পদে ফারজানা আক্তারের নাম অর্ন্তভুক্ত রয়েছে।
 
বন্ড কমিশনারেটের একই প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে একই নম্বরে দু’টি বন্ড লাইসেন্সের একটিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরমান উদ্দিন ও অন্যটিতে মোস্তাক আহম্মেদ।
 
তবে উভয় লাইসেন্সে চেয়ারম্যান ফারজানা আক্তার। অসৎ উদ্দেশ্যে জয়েন্ট স্টক ও বন্ড লাইসেন্সে ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদেও গরমিল করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
 
শুল্ক আদায় ও জালিয়াতিতে শুল্ক আইনের অপরাধ হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট মামলা দায়ের করেছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৬
আরইউ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।