ঢাকা: গাউছিয়া মার্কেটে শপিং করতে এসেছেন ফারজানা খান। প্রচণ্ড ভিড় ঠেলে চাঁদনী চকে যাচ্ছেন তিনি।
এ ঘটনা রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার গাউছিয়া মার্কেটের। প্রতিদিন এই এলাকায় শপিং করতে আসা অনেকেই এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনার শিকার হচ্ছেন।
এদিকে আর কয়েকদিন পর ঈদ উৎসব। উৎসবকে রাঙ্গাতে রাজধানীতে ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত মার্কেটগুলোতে চলছে কেনাকাটা। সব বয়সী ক্রেতারা কেনাকাটা করতে ছুটছেন মার্কেটে মার্কেটে। আর তক্কে তক্কে থাকা পকেটমারার সুযোগ পেলেই মোবাইল হ্যান্ডসেট হাতিয়ে সটকে পড়ছে ভিড়ের ভেতর।
এমন ঘটনা বেশি ঘটছে নিউমার্কেট, গাউছিয়া আর চাঁদনীচকে।
শুক্রবার (২৪ জুন) ঈদ উপলক্ষে এসব মার্কেটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেলো।
ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো, গাউছিয়া ও নিউমার্কেটের ভিড়কে কাজে লাগিয়ে মূলত নারীদের ফোনই চুরি হচ্ছে। ঈদকে কেন্দ্র করে এ পযর্ন্ত ৩০০ থেকে ৪০ ফোন বেহাত হওয়ার অভিযোগ জমা পড়েছে পুলিশের কাছে।
এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা থেকে ক্রেতাদের রক্ষা করতে অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম বসিযেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। তবে সকাল আটটা থেকে মধ্যরাত অবধি খোলা থাকলেও মোবাইল বেহাত হওয়া ঠেকাতে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না কন্ট্রোল রুম।
গাউছিয়া পুলিশ কন্ট্রোল রুমে দায়িত্বরত উপরিদর্শক (এসআই) লুৎফুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এখানে যে সব অভিযোগ আসছে, সেগুলো বেশির ভাগই মোবাইল ফোন হারানোর অভিযোগ। ভিড়ের মধ্যে ফোন হারিয়ে আমাদের কাছে আসে। এ ক্ষেত্রে ফোন উদ্ধার করা কঠিন। তবে ধরা পড়লে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নিচ্ছি।
যদিও ক্রেতাদের ভোগান্তি লাঘবে নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী নিয়োজিত করেছে গাউছিয়া-চাঁদনীচক দোকান মালিক সমিতি। এই বাহিনী ক্রেতাদের প্রবেশ ও বের হওয়ার আলাদা লাইন করে দিচ্ছে। তবে অতিরিক্ত ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে তারাও।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৬
এমসি/জেডএম