ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

১০ হাজার থ্রিজি বিটিএস’র মাইলফলকে গ্রামীণফোন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৫ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৬
১০ হাজার থ্রিজি বিটিএস’র মাইলফলকে গ্রামীণফোন ছবি: পিয়াস-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: দেশের শীর্ষ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন বহুল প্রতীক্ষিত ১০ হাজার থ্রিজি বিটিএস (মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক টাওয়ার) স্থাপনের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। এসব বিটিএস’র মাধ্যমে দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে থ্রিজির আওতায় নিয়ে এসেছে অপারেটরটি।


 
রোববার (২৬ জুন) বিকেলে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এ সেবার উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।  
 
গ্রামীণফোনকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অপারেটরটির নিরলস প্রচেষ্টার ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আরও একধাপ এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ।
 
নেটওয়ার্ক বিস্তারের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

তিনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে থ্রিজি নেটওয়ার্ক নিয়ে যাওয়ার জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ অত্যন্ত গর্বিত। বাংলাদেশের একজন মানুষও যাতে এই থ্রিজি সুবিধা বঞ্চিত না থাকে সে দিকে দৃষ্টি দেবো।

চলতি বছরের মধ্যেই ফোরজি চালু কর‍ার আশাবাদ ব্যক্ত করে তারানা বলেন, আমরা সেবার মানোন্নয়নে গুরুত্বারূপ করেছি। সরকার ও প্রাইভেট সেক্টরকে নিয়ে এক সঙ্গে সাথে পথ চলতে চাই। এজন্য প্রত্যেক বেসরকারি সেক্টরকে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

থ্রিজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের জন্য গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, অপারেটরগুলোকে শুধু শহরাঞ্চলে নয়, প্রত্যন্ত অঞ্চলে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করতে হবে।

‘সেবার মানোন্নয়নের পাশাপাশি কলড্রপ যাতে কমে যায় সেদিকেও খেলাল রাখতে হবে। ’

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাজীব শেঠি বলেন, পাঁচ মাস আগে আমরা অতি দ্রুতগতিতে থ্রিজি নেটওয়ার্ক বিস্তারের চ্যালেঞ্জ নিই। এখন এ সাফল্য শুধু গ্রামীণফোনের নয়, এই দশ হাজার বিটিএস এখন একটি জাতীয় সাফল্য এবং আমরা বাংলাদেশের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে চাই।

১০ হাজার বিটিএসকে থ্রিজিতে র‍ূপান্তরিত করার অভিযাত্রা একটি উপস্থাপনার মাধ্যমে তুলে ধরেন গ্রামীণফোনের চিফ টেকনিক্যাল অফিসার (সিটিও) মেদহাত এল হোসাইনী।

উদ্বোধনের পর চট্টগ্রাম থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে মহেশখালীতে দশ হাজারতম বিটিএসে কর্মরত গ্রামীণফোন কর্মকর্তাদের সাথে ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলেন গ্রামীণফোনের সিইও রাজীব শেঠি।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ঢাকায় টেলিনর গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ও সিইও সিগভে ব্রেক্কের উপস্থিতিতে গ্রামীণফোনের সিইও রাজীব শেঠি জুনের মধ্যে দশ হাজার থ্রিজি বিটিএস স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

গ্রামীণফোন জানায়, এই অঞ্চলে জনসংখ্যার বিচারে ১০ হাজারতম বিটিএসের মাধ্যমে ৯০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসা অন্যতম দ্রুত এবং বৃহৎ থ্রিজি নেটওয়ার্ক বিস্তার।

ফলে শুধু দেশের প্রায় সব মানুষ থ্রিজির আওতায় আসবে না, সরকার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে আরও বেশি মানুষের কাছে কার্যকরভাবে ডিজিটাল সেবা নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৬, আপডেট: ২০১৮ ঘণ্টা
এমআইএইচ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।