ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মানসম্মত পণ্যেই পছন্দের শীর্ষে বসুন্ধরা সিটি

সাখাওয়াত আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৫ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৬
মানসম্মত পণ্যেই পছন্দের শীর্ষে বসুন্ধরা সিটি ছবি: দিপু-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বসুন্ধরা সিটি শপিং মল ঘুরে: ছেলেকে নিয়ে বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বাসিন্দা নাজমা হক। প্রায় এক যুগ আগে চালু হওয়ার পর থেকে কেবল ঈদের কেনাকাটা নয়, সব ধরনের শপিংয়ের জন্য তার পছন্দের শীর্ষে এ মার্কেটটি।

‘আধুনিক সুযোগ সুবিধা, উন্নত পরিবেশ আর গুণগত মানে সেরা পণ্য পাওয়া যায় বলেই আমি সব সময় বসুন্ধরা সিটিতেই শপিং করতে আসি। ঈদের কেনাকাটাসহ নিত্য ব্যবহার্য পণ্যের জন্যেও আমি সোজা চলে আসি এখানেই। এ মার্কেট চালু হওয়ার পর থেকেই আসছি এখানে,’ নিজের পছন্দের ব্যাখ্যা নিজেই দিচ্ছিলেন এই গৃহিণী।

শুধু নাজমাই নন, রোজার ২৩তম দিন বুধবার (২৯ জুন) রাজধানীর অভিজাত বিপণি বিতান বসুন্ধরা শপিং মলে আসা অনেক ক্রেতাই এভাবে জানালেন তাদের পছন্দের কথা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রী লিজা ও মিরার সঙ্গে কথা হয় মলের লেভেল ফোরে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার এ শপিং মল থেকে কেনাকাটা করেছেন তারা। আজও এসেছেন ঈদের কেনাকাটা করতে।

বললেন, মার্কেটের অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা ও সুন্দর পরিবেশের কারণে আমরা এখানে আসি। তাছাড়া সব ধরনের পণ্যও পাওয়া যায়। এক জায়গা থেকে সব জিনিস কেনার জন্যে যার জুড়ি নেই।

তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে প্রায় একই কথা বললেন, বেসরকারি ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের দুই শিক্ষার্থী শারমিন ও ফয়সালও।

বিক্রেতারা জানালেন, বরাবরের মতো এবারও রমজানের মাঝামাঝি থেকেই ভালো বিক্রি হচ্ছে। যা চলবে চাঁদ রাত পর্যন্ত। এ পর্যন্ত যা বিক্রি হচ্ছে তা সন্তোষজনক। সামনের কয়েকদিন আরও বেশি বিক্রি হবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন তারা।

পুরুষদের পোশাকের কালেকশনে বেশ নামকরা দেশীয় ফ্যাশন প্রতিষ্ঠান মেনজ ক্লাব। পুরুষদের সব ধরনের পোশাকই পাওয়া যায় এখানে। নিত্য নতুন কালেকশনের জন্যে মার্কেটের শো-রুমে ভিড়ও ছিলো লক্ষ্যণীয়।  

মেনজ ক্লাবের ম্যানেজার সরফরাজ আলম বাংলানিউজকে বলেন,  আমাদের এখানে প্রতিবছরই নতুন নতুন ও লেটেস্ট ডিজাইনের পোশাক আসে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
‘উন্নত পরিবেশ আর সুব্যবস্থপনার কারণে বসুন্ধরা সিটিতে সব সময় লোক সমাগম থাকে। ঈদ সামনে থাকলে সে ভিড় আরও বাড়ে। তাই স্বভাবতই বিক্রি ভালো। ’
 
প্লাস পয়েন্ট’র সহকারী ম্যানেজার আরাফাত আলম বলেন, শিশু থেকে শুরু করে ৮০ বছরের বয়স্কদেরও পরিধেয় সব ধরনের পোশাক পাওয়া যায় এখানে।   দামও রয়েছে নাগালের মধ্যে।

তিনি বলেন, আমাদের এখানে ফুলহাতা শার্টের দাম ১১৮০ টাকা থেকে শুরু করে ১৭০০ টাকা পর্যন্ত, হাফ হাতা শার্ট ৯৮০ টাকা থেকে ১৩৮০ টাকা পর্যন্ত, পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে ১৮৮০ টাকা থেকে ২৪৮০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া জিন্স প্যান্ট বিক্রি হচ্ছে ২০৫০ টাকা থেকে ৩৯৫০ টাকা পর্যন্ত। ‘তবে ঈদে পাঞ্জাবীর চাহিদাই বেশি,’ বলে জানালেন আরাফাত আলম।

সরেজমিনে দেখা যায়, লেভেল ফোরে প্রায় প্রত্যেকটি দোকানেই ক্রেতাদের ভিড় ছিলো লক্ষ্যণীয়। এই ফ্লোরের লামিসা কালেকশনে বিভিন্ন ধরনের পোশাক দরদাম করে কিনছিলেন বেশ কয়েকজন নারী ক্রেতা।

প্রতিষ্ঠানটির সেলস ম্যানেজার সাইফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যা বিক্রি হয়েছে সেটা সন্তোষজনক। তবে ঈদের আগে তা আরও বাড়বে।
পুরুষদের পাঞ্জাবী ছাড়া নারীদের থ্রি-পিছ এবং লেহেঙ্গার প্রতি কিশোরী ও তরুণীদের আগ্রহ বেশি রয়েছে জানান তিনি।
 
এদিকে প্রতিবছরের মতো এবারও ক্রেতাদের জন্য আকর্ষনীয় র‌্যাফেল ড্রয়ের ব্যবস্থা করেছে শপিং মল কর্তৃপক্ষ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এবারের মেগা র‌্যাফেল ড্র’তে রয়েছে গাড়ি, হীর‍ার গহনাসহ মোট ১৬৭টি মেগা পুরস্কার।

এছাড়া প্রতিদিনই র‌্যাফেল ড্রয়ে ৪০০টির বেশি পুরস্কার রয়েছে। সব মিলিয়ে রয়েছে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের ১৩ হাজার ২০০টি পুরস্কার।

বাংলাদেশ সময়: ০১১৪ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৬
এসএ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।