বেনাপোল (যশোর): ঈদের ছুটি নিয়ে বিরোধে সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীদের বিক্ষোভ ও বাধার মুখে বেনাপোলে বন্ধ হয়ে গেছে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য।
শনিবার (০২ জুলাই) দুপুর ২টায় সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা তাদের লোকজন নিয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট এসে আমদানি পণ্যবাহী ট্রাক ঢুকতে বাধা দেওয়ায় বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়।
জানা গেছে, প্রথমে ৯ দিনের ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরবর্তীতে ২৭ জুন আবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই ছুটি বাতিল করে ঈদের দিন ও তার পরে ৮ ও ৯ জুলাই মাত্র ৩দিনের ছুটি ঘোষণা করে। এসময় অফিসসহ ও বাণিজ্যিক এলাকায় ব্যাংক খোলা রাখার নিদের্শ দেওয়া হয়। এতে সরকারি কর্মচারী,ব্যাংক ও আমদানি-রফতানির সঙ্গে সস্পৃক্ত বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছিল। কিন্তু উপায় না থাকায় সরকারি কর্মচারীরা অফিস খোলা রাখে।
এতে শনিবার (০২ জুলাই) সকাল থেকে স্বাভাবিক নিয়মে পেট্রাপোল বন্দরের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য চলছিল। হঠাৎ করে দুপুরে বেনাপোল বন্দর এলাকার সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীরা পণ্য ঢুকতে বাধা দিলে চালকরা ট্রাক ফেরত নিয়ে যায়। এতে আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে যায়।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের কার্গো বিষয়ক সম্পাদক মাহাবুব হোসেন বাংলানিউজকে জানান, সরকারের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ইতোমধ্যে বন্দর থেকে আমদানিকারকদের জরুরি মালামাল খালাস নেওয়া শেষ হয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীরা অনেকে কাজ শেষ করে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ কাটাতে গ্রামের বাড়িতে গেছে। এর মধ্যে নতুন করে ছুটি বাতিলের ঘোষণায় কাস্টমস নিজ দায়িত্বে আমদানি পণ্য ঢোকাচ্ছে। এতে আমদানিকারকদের আমদানি পণ্যের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গোশাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা(ইন্সপেক্টর) জসিম উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, সরকারি নির্দেশনা মানতে তারা অফিস খোলা রেখে ভারত থেকে আমদানি পণ্য ঢোকাচ্ছিলেন। কিন্তু সিএ্যান্ডএফ কর্মচারীরা এসে বাধা দিয়ে বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৬
পিসি/