ঢাকা: ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর মাংসের বাজারে খাসি, গরু ও মুরগির দাম বেড়েছে।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সরেজমিনে রাজধানীর একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে না খাসি ও গরুর মাংস।
সরকার নির্ধারিত দামে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হওয়ার কথা ৪২০ টাকা, মহিষের মাংস ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৫৭০ টাকা।
অথচ মহল্লার মাংসের দোকান থেকে শুরু করে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা থেকে ৪৬০ টাকা, যা গত শুক্রবার (১ জুলাই) ৪২০ টাকা থেকে ৪৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
খাসির মাংস বরাবরের মতো ৭০০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে মহিষের মাংসের দাম পূর্বনির্ধারিত দামেই ৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
মাংস বিক্রেতারা বলছেন, ঈদকে সামনে রেখে গরু ও খাসি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাই বাড়তি দামে মাংস বিক্রি করতে হচ্ছে।
মাংসের ক্রেতা সনিয়া জামান বলেন, অতিরিক্ত দাম রাখা ব্যবসায়ীদের স্বভাব। সরকারি মনিটরিং না থাকায় বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম রাখছেন।
গত শুক্রবার প্রতিটি মাংসের দোকানে সিটি করপোরেশন নির্ধারিত মূল্যের তালিকা ঝুলতে দেখা গেলেও এখন আর তা নেই।
কেন মূল্য তালিকা নেই? জানতে চাইলে মালিবাগ বাজারের মাংস বিক্রেতা সগির বলেন, সামনে ঈদ, কিছু করার নেই।
মুরগির (ব্রয়লার, লেয়ার, দেশি ও পাকিস্তানি) দামও কেজিপ্রতি ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।
ব্রয়লার মুরগি বাজারভেদে ১৮০ টাকা থেকে ১৯০ টাকা প্রতি কেজি, যা গত শুক্রবার ১৭০ টাকা থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এদিকে লেয়ার মুরগি প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ২৩০ টাকা থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঈদে রোস্টের চাহিদা থাকায় দেশি মুরগির তুলনায় দাম বেড়েছে পাকিস্তানি মুরগির।
১৮০ টাকার পাকিস্তানি মুরগি বর্তমানে ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকা প্রতি পিচ বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন মুরগি বিক্রেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৬
এফবি/এএসআর