ঢাকা: ঈদুল ফিতরের দীর্ঘ ছুটি শেষ হলেও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি রাজধানীর ব্যাংকগুলোর লেনদেন কার্যক্রম। ব্যবসায়ী ছাড়াও ব্যাংকে লেনদেন করতে আসছেন সাধারণ গ্রাহকরা।
সোমবার (১১ জুলাই) রাজধানীর বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিলে বিভিন্ন ব্যাংকের কার্যালয়ে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
জনতা ব্যাংকের কর্পোরেট শাখার ফাস্ট অ্যাসিসটেন্ট জেনারেল ম্যানেজার মো. কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের নয়দিন ছুটির পর রোববার (১০ জুলাই) থেকেই গ্রাহকের লেনদেন শুরু হয়েছে। সোমবার লেনদেনকারীদের মধ্যে জমাকারীর সংখ্যাই বেশি ছিল। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) ৭০ কোটি টাকা জমা হয়েছে আমাদের শাখায়।
এরকম দু’একটি বড় লেনদেন ছাড়া ছোট লেনদেনই বেশি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) গোপীনাথ দাস বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের ছুটির পর গ্রাহকের উপস্থিতি মোটামুটি। আগের তুলনায় বেশি বলা যাবে না।
সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন সঞ্চয় স্কিমের টাকা জমাকারীদের সংখ্যাই অন্যান্য গ্রাহকের তুলনায় বেশি।
বেসরকারিখাতের ব্যাংক এশিয়ার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার শাখায় গিয়ে দেখা যায়, দু’টি কাউন্টারে ৩-৪ জন করে গ্রাহক লেনদেনের জন্য দাঁড়িয়ে আছেন।
এই শাখার কর্মকর্তা নুশরাত বাংলানিউজকে বলেন, গ্রাহক আসছেন মোটামুটি হারে। কমও নয়, আবার খুব বেশিও নয়। ধীরে ধীরে আগের অবস্থায় ফিরে আসবে লেনদেন ও গ্রাহকের উপস্থিতি।
তবে ঈদের ছুটির পর ব্যাংকগুলোতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি দেখা গেছে আগের মতোই।
প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ খান চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, সরকারের ঘোষিত নয় দিনের ছুটির মধ্যে ২ থেকে ৪ জুলাই অধিকাংশ ব্যাংকের কিছু শাখা খোলা ছিল। সে সময় লেনদেন হয়েছে। সেজন্য হয়তো এখন আগের তুলনায় গ্রাহকের উপস্থিতি কম।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের (এবিবি) চেয়ারম্যান আনিস এ খান বলেন, ছুটির মধ্যেও ব্যাংক খোলা রাখায় ঈদের আগে ব্যবসায়ীরা বেচাকেনার টাকা জমা রাখতে পেরেছেন। ছুটির পর গ্রাহকের উপস্থিতি সন্তোষজনক।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, জুলাই: ১১, ২০১৬
এসই/জিসিপি/এইচএ/