সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের তিনটি শুল্ক স্টেশন দিয়ে তিন মাসের জন্য কয়লা আমদানির অনুমতি দিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল।
১ অক্টোবর থেকে এ স্টেশন দিয়ে কয়লা আমদানি শুরু হবে।
সুনামগঞ্জ কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি আলকাছ খন্দকার বাংলানিউজকে বলেন, ভারতের মাইন ওনার্স এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা আমাদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিন মাসের জন্যে কয়লা রপ্তানির অনুমতি দেওয়ায় আমদানিকারকদের মধ্যে স্বস্তি এলেও পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন তারা। তাদের মতে স্থায়ীভাবে কয়লা আমদানিতে উভয় দেশের সরকারের উচ্চপর্যায়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত জরুরি বলে মনে করেন।
গত দুই বছর (২০১৪ ও ১৫ এপ্রিল) ধরে ভারতের মেঘালয় থেকে সুনামগঞ্জের বড়ছাড়া, বাগলি ও ছাড়াগাঁও দিয়ে কয়লা আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে প্রায় ৫শ’ আমদানিকারক চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। তাদের কোটি কোটি টাকা রপ্তানিকারক ও দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বাকি পড়ে আছে। এ পরিস্থিতিতে অনেকেই ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন। কয়লা আমদানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ভারতের পরিবেশবাদী সংগঠন কর্তৃক মামলার প্রেক্ষিতে ভারতের ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল মেঘালয় সরকারকে কয়লা খনি খনন ও পরিবহন বন্ধের নির্দেশ দেয়। তবে মাঝে মধ্যে কয়েকবার সীমিত সময়ের জন্যে কয়লা রপ্তানির অনুমতি দিলেও আমদানিকারকরা এ স্বল্প সময়ের জন্যে তেমন উৎসাহ দেখান নি।
সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খারুল হুদা চপল বাংলানিউজকে বলেন, এ তিন শুল্ক স্টেশনের কয়লা আমদানি নিয়ে আমরা রপ্তানিকারকসহ ভারত সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আশাকরছি এর স্থায়ী সমাধান হবে।
এ ব্যাপারে তিনি বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমদানি বন্ধ থাকায় বাংলাদেশ সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৬
আরএ