ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অপারেশন আইরিন

শাহজালালে ডগ স্কোয়াডের বিশেষ তল্লাশি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৬
শাহজালালে ডগ স্কোয়াডের বিশেষ তল্লাশি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ফ্রেইট ইউনিটের কুরিয়ার ও পোস্টাল শাখায় আসা পার্সেলে র‌্যাবের ডগ স্কোয়াড দিয়ে তল্লাশি করা হয়েছে।
চলমান ‘অপারেশন আইরিন’ এর অংশ হিসেবে অবৈধ অস্ত্র, বিস্ফোরক, মাদকসহ নিরাপত্তার ঝুঁকিতে থাকা পণ্য খুঁজে বের করতে এ তল্লাশি করা হয়েছে।

ডগ স্কোয়াড সন্দেহজনক একটি প্লাস্টিকের কৌটায় ক্যাপসুল জাতীয় দ্রব্য পায়। এসব রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য জব্দ করা হয়েছে। পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) বিমানবন্দরে সংবাদ সম্মেলনে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এ কথা জানান।
 
অবৈধ এসব পণ্য চোরাচালান রোধে শুল্ক গোয়েন্দা এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে রাইলো এপি অপারেশন আইরিন (০৪ থেকে ২৩ জুলাই) পরিচালনা করছে।
 
ড. মইনুল খান বলেন, অভিযানের অংশ হিসেবে ঢাকা জিপিও’র এয়ারপোর্টের সটিং অফিসে দুবাই থেকে আসা ৩০ কেজি ওজনের একটি পার্সেল জব্দ করা হয়।
এর মধ্য থেকে কোটি টাকার ৭ হাজার ৪০০ পিস যৌন উত্তেজক নকল ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। চট্টগ্রামের প্রগতি মার্কেটের রিয়াজুদ্দিন বাজারের তাসলিমের নামে পার্সেলটি আসে।
 
এছাড়া সটিং অফিস থেকে ৬ পিস ধারালো ছুরি জব্দ করা হয়। বেনাপোলের জিরো পয়েন্টে ভারতগামী দুই যাত্রীর কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকার অবৈধ বিদেশি মুদ্রা জব্দ করা হয়।


 
তিনি আরো জানান, বর্তমানে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সন্ত্রাসী হামলাসহ নানাবিধ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড নিরাপত্তা বিঘ্নিত করাসহ সমাজে ভারসাম্য বিনষ্ট করছে।
 রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিতকারী এ সমস্ত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ, বিস্ফোরক, মাদক ইত্যাদি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত।
 
অনেক ক্ষেত্রে মিথ্যা ঘোষণা ও ঘোষণাবিহীনভাবে এসব পণ্যের চোরাচালান হওয়ার নজির রয়েছে। চোরাকারবারিরা অবৈধ পণ্য নানা কৌশলে পাচারের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে।
 
সম্প্রতি বিভিন্ন দেশে অনলাইনে ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে পোস্টাল ও কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবহার করে এ সমস্ত পণ্য পরিবহনের গোপন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
 
তিনি জানান, গত তিন বছরে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের কাস্টমস হাজারেরও অধিক অস্ত্র-গোলাবারুদ ও বিস্ফোরকের চালান আটক করেছে।  
 
বাংলাদেশ রাইলো এপি’র সক্রিয় সদস্য হিসেবে এ অভিযানে অংশ নিচ্ছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের ৩৩ জন সদস্য অভিযানের বিষয়টি সমন্বয় করছেন।
 
এখন এ দফতর অভিযানের অংশ হিসেবে পোস্টাল ও কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আনা পার্সেলগুলোর স্ক্যান কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
 
দুষ্কৃতিকারী ও পাচারকারী চক্রের কাছে এ অভিযান বাংলাদেশ কাস্টমসের পক্ষ থেকে একটি সতর্ক বার্তা দেবে বলেও জানান তিনি।
 
সংবাদ সম্মেলনে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক খালেদ মোহাম্মদ আবু হোসাইন, যুগ্ম পরিচালক মো. সাইফুর রহমান, সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জাকারিয়া, তারেক মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৬
আরইউ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।