ঢাকা: ৭ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) নগরীর শেরে বাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ব্রিফিংয়ে প্রকল্পগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
বৈঠকে ‘ঠাকুরগাঁও চিনিকল আধুনিকায়ন’ ও ‘ঢাকা- চট্রগ্রাম মেইন পাওয়ার গ্রিড স্ট্রেনদেনিং’ এবং ‘মাতারবাড়ি আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ারড পাওয়ার’ প্রকল্পসহ ৮টি নতুন ও সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে । অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর সরকারি অর্থায়ন ৩ হাজার ২৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৪ হাজার ৩০১ কোটি টাকা ৬৮ লাখ টাকা।
জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে মাতারবাড়িতে ১২শ’ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ কাজ চলমান আছে। উৎপাদিত এ বিদ্যুৎ সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে নির্মাণ করা হবে সঞ্চালন লাইন। একইসঙ্গে বিদ্যুৎ ইভাকুয়েট করা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিদ্যমান চাহিদা পূরণে বাস্তবায়িত হবে আরেকটি প্রকল্প।
প্রকল্প দু’টির মাধ্যমে চট্টগ্রামে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করা হবে। পাশাপাশি ঢাকা এবং চট্টগ্রামের মধ্যে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ক্ষমতার উন্নয়ন ও নিশ্চিতকরণ করা হবে। যার প্রভাব পড়বে পুরো বাংলাদেশে।
দু’টি প্রকল্পই মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপর নির্ভর করে গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্প দু’টির মোট ব্যয় প্রায় ৫ হাজার ৬৫৮ কোটি টাকা।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) সূত্র জানায়, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মেইন পাওয়ার গ্রিড স্টেনদেনিং’ ও ‘মাতারবাড়ি-মদুনাঘাট ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন’ প্রকল্প দু’টির আওতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হবে।
‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মেইন পাওয়ার গ্রিড স্টেনদেনিং’ প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৫৬৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প সাহায্য ২ হাজার ৭৬৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। প্রকল্পটি ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।
‘ঠাকুরগাঁও চিনিকলের পুরাতন যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপন এবং সুপার বিট থেকে চিনি উৎপাদনের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংযোজন’ প্রকল্পের মোট ব্যয় ৪১১ কোটি টাকা।
অন্যদিকে ৭৯৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ‘শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন’ প্রকল্পও অনুমোদন পায় বৈঠকে।
‘শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন’ প্রকল্পের মোট ব্যয় ৩৫২ কোটি টাকা। ৩২২ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ‘তারাইল-পাঁচুরিয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ’ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
২৬৮ কোটি ১৭ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ‘পদ্মা নদীর ভাঙন থেকে রাজশাহী মহানগরীর অন্তর্ভুক্ত সোনাইকান্দি থেকে বুলনপুর পর্যন্ত এলাকা রক্ষা’ প্রকল্প এবং ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘ঢাকা ওয়াসার সায়েদাবাদ ফেজ-৩ প্রকল্পের’ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বৈঠকে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর