ঢাকা: দু’টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনের (বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল) প্রি-কোয়ালিফিকেশন (প্রাক-যোগ্যতা সনদপত্র) পেয়েছে দেশের স্বনামধন্য বসুন্ধরা গ্রুপ।
‘বসুন্ধরা স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেড’ ও ‘ইস্ট-ওয়েস্ট স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেড’ নামে এ লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) কার্যালয়ে এ লাইসেন্স প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বেজা’র নিবার্হী চেয়ারম্যান (সচিব) পবন চৌধুরী বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ মাহবুব হায়দার খানের হাতে লাইসেন্স তুলে দেন।
বেসরকারি খাতে দ্রুত শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বসুন্ধরা গ্রুপ রাজধানীর দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জে এ দু’টি ইকোনমিক জোনের প্রস্তাব করেছে।
অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) মো. ফখরুদ্দীন বলেন, রাজধানীর হাজারীবাগ, কেরাণীগঞ্জ ও আইন্তা মৌজায় এ জোন করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে ইস্ট-ওয়েস্ট স্পেশাল ইকোনমিক জোনের ডেভেলপমেন্ট কাজ শুরু হয়েছে। মাল্টি ফুড প্রোডাক্টস, ফুড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রি, এলপিজি বোট্রলিন ফ্যাক্টরি, এলপিজি সিলিন্ডার ম্যানুফ্যাকচারিং ফ্যাক্টরি জাতীয় হালকা ও মাঝারি শিল্প স্থাপনের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।
তিনি বলেন, বসুন্ধরা স্পেশাল ইকোনমিক জোন মূলত পেট্রোলিয়াম অয়েল রিফাইনারি করার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। বাংলাদেশে একমাত্র ইস্টার্ন রিফাইনারি নামে সরকার পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান আছে। সময়ের ব্যবধানে এটি অনেকটাই উৎপাদন ক্ষমতা হারিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এসব ভেবে বসুন্ধরা গ্রুপ মনে করে, এদেশে রিফাইনারি সেক্টরে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। সেজন্য বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তার পুত্র ম্যানেজিং ডিরেক্টরের উদ্যোগে বসুন্ধরা অয়েল অ্যান্ড গ্যাস কোম্পানি সেখানে মূল বিনিয়োগ করবে।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে। ডেভেলপমেন্ট শেষে নিজস্ব ইনভেস্টমেন্টের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারী এগিয়ে এলে তাদের স্বাগত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ মাহবুব হায়দার খান বলেন, এ দু’টি জোনে পেট্রোলিয়াম অয়েল রিফাইনারি, স্টিল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, শিপ বিল্ডিং, সিলিন্ডার ম্যানুফ্যাকচারিং (এলপিজি), এলপিজি বোটলিন প্ল্যান্ট, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, মাল্টি ফুড প্রোডাক্টস- এ ধরনের ভারি ও মাঝারি বেশ কিছু শিল্প গড়ে তোলা হবে।
জমিগুলোর সম্পূর্ণ ডেভেলপমেন্ট শেষ হলে বিদেশি কোনো বিনিয়োগকারী এলে আমরা তাদের স্বাগত জানাবো। প্রকল্প চালু হলে প্রায় ৪০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। দু’টি জোন দেশের অর্থনীতিতে ভালো অবদান রাখবে বলেও মনে করেন তিনি।
বেসরকারি বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে দু’টি ইকোনমিক জোন করতে বসুন্ধরা গ্রুপ এগিয়ে আসায় ধন্যবাদ জানান বেজা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী।
তিনি বলেন, ১০০টি ইকোনমিক জোনের মধ্যে ৫০টি হবে বেসরকারি খাতে। সেক্ষেত্রে বসুন্ধরা গ্রুপের মতো অন্তত ২০টি বড় কোম্পানি বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছে।
বসুন্ধরা গ্রুপের সক্ষমতার ক্ষেত্রে কোনো প্রশ্ন নেই জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের প্রতিষ্ঠিত এ গ্রুপের শিল্প, রিয়েল এস্টেট, সার্ভিস সেক্টরে অভিজ্ঞতা ও সক্ষমতা রয়েছে।
এ সক্ষমতা আর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বেজা আর বসুন্ধরা গ্রুপ সহযোগী হয়ে ইকোনমিক জোনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে বলেও মনে করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা (জনসংযোগ) লে. কর্নেল (অব.) খন্দকার আবদুল ওয়াহেদ, বেজার নির্বাহী সদস্য ড. এমদাদুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৬
আরইউ/এএসআর
** দু’টি ইকোনমিক জোনের লাইসেন্স পাচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপ