ঢাকা: এক হাজার চারশ’ ৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট সাতটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। সব প্রকল্পের সমস্ত ব্যয়ই সরকারি তহবিল (জিওবি) থেকে মেটানো হবে।
মঙ্গলবার (০২ আগস্ট) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেয় একনেক। প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি জানান, ২৯৩ কোটি ঢাকা ব্যয়ে ‘ঢাকা মহানগরীতে ১১টি সরকারি মাধ্যমিক স্কুল ও ৬টি মহাবিদ্যালয় নির্মাণ’ প্রকল্পটি বৈঠকে সংশোধিত আকারে অনুমোদন দেওয়া হয়।
‘জামালপুর ও শেরপুর জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৮৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা। ‘হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ উন্নয়ন’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন’ প্রকল্পও অনুমোদন দেওয়া হয় বৈঠকে। ‘মুন্সীগঞ্জ, ফরিদপুর, চাঁদপুর, সিরাজগঞ্জ ও বাগেরহাট জেলায় ৫টি ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি স্থাপন’ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
‘নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা, ড্রেন নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণ এবং বৃক্ষরোপন’ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯১ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
‘নারী কারারক্ষীদের আবাসন ও অবকাঠামো নির্মাণ’ প্রকল্পে প্রায় ৯৪ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় আটটি বিভাগের ৪১টি জেলা কারাগার ও নয়টি কেন্দ্রীয় কারাগারে নারী কারারক্ষীদের জন্য আবাসন ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। এর মাধ্যমে তাদের বসবাসের জন্য উন্নত পরিবেশ এবং আধুনিক স্বাস্থ্যসেবাসহ প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। ২০১৬ সালের আগস্ট থেকে ২০১৯ সালের জুন মেয়াদে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে কারা অধিদফতর এবং গণপূর্ত অধিদফতর।
কারা অধিদফতর সূত্র জানায়, দেশের অধিকাংশ কারাগারে ধারণ ক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ বন্দি থাকছেন। কারাগারগুলোতে নারী কারাবন্দিদের পাশাপাশি নারী কারারক্ষীদের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। কারাগারগুলোতে তাই নারী ওয়ার্ডারদের আবাসন, পানি সরবরাহ ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
এ লক্ষ্যে প্রকল্পের আওতায় নারী কারারক্ষীদের জন্য ৬০০ বর্গফুট আয়তনের মোট ৪৫৬টি ইউনিট আবাসন ও ১৪টি জেলা কারাগারে একটি করে মোট ১৪টি নতুন আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি ছয়তলা ভিতের ওপরে পাঁচতলা ভবন, প্রতিটিতে ১০টি করে মোট ১৪০টি ইউনিট থাকবে আবাসিক ভবনগুলোতে। এছাড়াও নয়টি কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রতিটিতে দু’টি করে মোট ১৮টি নতুন আবাসন ভবন নির্মাণ করা হবে। যাতে থাকবে মোট ১৮০টি ইউনিট।
প্রকল্পটির বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘কারাগারে নারী ও পুরুষ বন্দিদের স্টিল ডেভেলপমেন্ট করতে হবে। নারী বন্দিরা যেন মোড়া ও নকশি কাঁথা তৈরিসহ নানা ধরনের হাতের কাজ শিখতে পারেন। এসব পণ্য বিক্রি করে বন্দিরা যেদিন কারামুক্ত হবেন, তাদের হাতে টাকাগুলো বুঝিয়ে দিতে হবে’।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর