ঢাকা: জনস্বাস্থের জন্য ক্ষতিকারক ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন- ২০০৫ বাস্তবায়নে তামাকবিরোধী সংগঠনগুলোর পাশে থাকবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
রোববার ( ০৭ আগস্ট) টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্স সেল ও বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোটের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতকালে এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম লস্কর।
পণ্য ভোক্তার জন্য ক্ষতিকর ও মেয়াদ উত্তীর্ণ কি-না, পণ্য ব্যবহারে ভোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত কি-না, এসব পর্যবেক্ষন করে থাকে সংস্থাটি। তামাক জনস্বাস্থের জন্য ক্ষতিকারক এমনকি ভোক্তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। ফলে ভোক্তার স্বার্থে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন মহাপরিচালক।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুসারে বাংলাদেশ সরকার সকল তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদান বাধ্যতামূলক করেছে এবং প্রতি তিন মাস পর পর আইন অনুসারে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী পরিবর্তনের বিধানও রয়েছে। কিন্তু তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে উৎপাদন ও মেয়াদ উর্ত্তীর্নের তারিখ না থাকায় পর্যবেক্ষণে সমস্যা হচ্ছে।
সাক্ষাতকালে গবেষণার তথ্য তুলে ধরে প্রতিনিধি দল জানান, একজন ধূমপায়ী বছরে প্রায় ৭শ’ বার একটি সিগারেটের প্যাকেট দেখেন। এতে করে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী ধূমপায়ীদের ধূমপান ত্যাগে এবং অধূমপায়ীদের ধূমপান করতে নিরুৎসাহিত করে। এ কারণে তামাক কোম্পানিগুলো সুকৌশলে তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সতর্কবাণী প্রদান থেকে বিরত থাকছে।
দেখা যায়, ৭৫ শতাংশ সিগারেট কোম্পানি আইন অনুসারে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদান করছে না। এ পরিস্থিতিতে তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ সতর্কবাণী সুনিশ্চিত করতে উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ প্রদান জরুরি বলে জানানো হয়।
দেশে প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ মানুষ তামাকজনিত রোগে মারা যান। এ পরিস্থিতিতে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনের বাস্তবায়ন খুবই জরুরি বলেও মনে করেন তারা।
মহাপরিচালক জানান, তামাক নিয়ন্ত্রণে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের আন্তরিক সহযোগিতা থাকবে। সারা দেশে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সকল অফিসের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করতে বলা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পরিচালক ও যুগ্ম সচিব মতিনুল হক, পরিচালক মনজুর মোরশেদ চৌধুরী, এইড ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বকুল, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক সৈয়দা অনন্যা রহমান, টিসিআরসি'র সদস্য সচিব অধ্যাপক মো. বজলুর রহমান, টিসিআরসি’র সহকারী গবেষক ফারহানা জামান লিজা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৬
এমসি/এএসআর