ঢাকা: অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অর্থায়ন রোধে কর্মকর্তাদের নিয়ে কর্মশালা করেছে মোবাইলে আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ। শনিবার (২০ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা।
তিনি বলেন, মোবাইলে আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যদি লেনদেনের সময় সিমকার্ডের মালিককে শনাক্ত করতে পারে তাহলে অর্থপাচার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন কমে যাবে।
‘একই সঙ্গে সেবা প্রদানকারী এজেন্টকে অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়নের আইন-কানুন সর্ম্পকে অবহিত করতে হবে। তাহলে অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অর্থায়নে রোধ করা সম্ভব হবে। ’
এক্ষেত্রে এ সংক্রান্ত বিধিমালা কঠোরভাবে মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় বিকাশ ‘অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং অ্যান্ড কমব্যাটিং ফাইন্যান্সিং অব টেরোরিজম (এএমএল অ্যান্ড সিএফটি) রেলিভ্যান্স, চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড প্রাকটিক্যালমেজারস’ কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উত্থাপন করেন বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের উপ-পরিচালক আল-আমিন রিয়াদ।
অনুষ্ঠানে বিকাশ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, বিকাশ বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এএমএল অ্যান্ড সিএফটি সংক্রান্ত বিধিমালা সম্পূর্ণভাবে পরিপালন করছে এবং এক্ষেত্রে বিকাশ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ’
এ সময় বিকাশ-এর চিফ এক্সটারনাল অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার অ্যান্ড চিফ অ্যান্টি মানি লন্ডারিং অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স অফিসার মেজর জেনারেল (অব.) শেখ মো. মনিরুল ইসলাম ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিভাগের ৮৫ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
২০১১ সালে কার্যক্রম শুরু করা বিকাশ দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে।
বিকাশ ব্র্যাক ব্যাংক, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানি ইন মোশন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের অধীন প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্স কর্পোরেশন এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এর যৌথ মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৬
এসই/এমএ