খুলনা: ‘দেশে কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে এক কোটি ১৫ লাখ। আসন্ন কোরবানিতে চাহিদা রয়েছে এক কোটি পশুর।
শনিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) খুলনা সার্কিট হাউজে বাংলানিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
এক কোটি পশুর মধ্যে গরু-মহিষের সংখ্যা কতো জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৪০ লাখ গরু ও মহিষ। বাকিগুলো ছাগল ও ভেড়া।
গত বছরের চেয়ে এবার পশুর চাহিদা কতো বেড়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত বছর পশুর চাহিদা ছিলো ৯৪ লাখ। এবার ছয় লাখ পশুর চাহিদা বেড়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে কোরবানির পশু মোটাতাজা করা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করতে এবার সিটি করপোরেশনসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে পশুর হাটগুলোতে এক হাজার মেডিকেল টিম নিয়োগ দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
‘আমাদের দেশের খামারিরা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি পশু পালন করছেন এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। বেকার ও বিধবারা এখন গরু-ছাগল পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। ’
তিনি আরও বলেন, অতীতে বাংলাদেশের প্রতিটি পরিবার ছিলো কৃষি নির্ভর। কোনো এক সময় সবার বাড়িতে ছিলো গরু-ছাগল। কিন্তু সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পশু পালনও কমে যায়। এখন আবার মানুষ পশু পালনে আগ্রহী হয়েছেন। এমনকি রাজধানী ঢাকাতেও হাজার হাজার মানুষ দুধের চাহিদা পূরণের জন্য গরু পালন করছেন।
ভারত ও মায়ানমার থেকে গরু আসছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, চোরাই পথে কিছু আসলেও আসতে পারে। দেশের বাইরে থেকে কোনো পশু আমদানির প্রয়োজন নেই। পশু আমদানি না হলে খামারিরা ন্যায্য মূল্য পাবেন, অন্যদিকে ক্রেতাদেরও বেশি দামে পশু কিনতে হবে না।
এবারও গত বছরের ন্যায় ন্যায্য মূল্যে সবাই কোরবানির পশু কিনতে পারবেন বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৬
এমআরএম/ওএইচ/এসএনএস