বেনাপোল (যশোর): ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ছয়দিন বন্ধ থাকার পর যশোরের বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে।
রোববার (১৮ সেপ্টম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সকালে বেনাপোল স্থলবন্দর ঘুরে দেখা যায়, আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত কাস্টমস, বন্দর, সিঅ্যান্ডএফ, ট্রান্সপোর্ট, ব্যাংক ও ইনস্যুরেন্স অফিস খুলেছে এবং এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। অফিস খুলেছে বন্দরের পণ্য লোড-আনলোডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক ইউনিয়নগুলো।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা অমিত বরণ দাস বাংলানিউজকে জানান, ছুটি শেষে কাস্টমস হাউজের প্রতিটি শাখায় অফিসিয়াল কার্যক্রম শুরু হওয়ায় ব্যস্ততা কিছুটা বেড়েছে।
তিনি আরো জানান, সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ভারত থেকে পণ্য নিয়ে ৫০টি ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। চলছে রফতানি বাণিজ্যও।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) নিতাই চন্দ্র সেন বাংলানিউজকে জানান, সরকারি ছুটি শেষে ১৫ সেপ্টেম্বর অফিস খোলা হয়েছিল। কিন্তু ব্যবসায়ীরা কোনো পণ্য খালাস করেননি। রোববার সকাল থেকে পুরোদমে বন্দর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ঈদের ছুটিতে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় বন্দরে আটকে থাকা পণ্য দ্রুত খালাসের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, স্থলপথে ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ৮০ ভাগই আসে এ বন্দর দিয়ে। এ পথে পণ্য পরিবহন খরচও কম। বেনাপোল বন্দর থেকে ভারতের কলকাতা শহরের দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। আড়াই থেকে তিন ঘণ্টায় একটি ট্রাক কলকাতা থেকে পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে পারে।
প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩০০ থেকে ৩৫০ ট্রাক পণ্য আমদানি করে। রফতানি হয় ১৫০ থেকে ২০০ ট্রাক পণ্য। প্রতিবছর এ বন্দর থেকে সরকার প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার রাজস্ব পায় বলেও জানা যায় বন্দর সূত্রে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টম্বর ১৮, ২০১৬
এজেডএইচ/এজি/এসআই