ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘টীমওয়ার্ক প্রতিষ্ঠায়’ এনবিআর চেয়ারম্যানের ৫ নির্দেশনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৬
‘টীমওয়ার্ক প্রতিষ্ঠায়’ এনবিআর চেয়ারম্যানের ৫ নির্দেশনা

ঢাকা: এনবিআরের আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তাদের মধ্যে সমন্বয়, তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে কার‌্যকর টীমওয়ার্ক প্রতিষ্ঠায় পাঁচ নির্দেশনা দিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান।
 
একই সাথে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিরাজমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সর্বস্তরে রাজস্ববান্ধব সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় আন্তরিক প্রয়াস চালানোরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।


 
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ এ মু’মেন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
 
চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়ে বর্তমানে নিয়ইর‌্যকে অবস্থান করছেন।
 
নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে, তিন বিভাগের মাঠ পর্যায়ের সকল দপ্তরের সাথে সমন্বয় রেখে কর রাজস্বের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রেরণ করতে হবে।
 
মাঠ পর্যায়ের সকল রাজস্ব কর্মকর্তাদের পারফরমেন্স এর মূল্যায়ন মাসিক ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রেরণ করতে হবে।
 
মাঠ পর্যায়ে রাজস্ব ফাঁকি প্রদানকারি প্রতিষ্ঠানের একটি তালিকা প্রণয়ন ও তাদেরকে  রাজস্ববান্ধব প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের জন্য কৌশল প্রণয়ন করতে হবে।
 
তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি, ফেসবুকে ভ্যাট ও ট্যাক্স অনলাইন প্রকল্পের আপডেট, অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম কার্যক্রমকে সফল করতে প্রয়াস চালানো।
 
নির্দেশনার বিষয় নিয়ে চেয়ারম্যান বা সদস্যদের উপস্থিতিতে মহাপরিচালক বা কমিশনারদের মধ্যে মাসিক পর্যালোচনা সভার আয়োজন করা।
 
ঘনিষ্ঠ সমন্বয় ও তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে একটি অধিকতর কার্যকর টীমওয়ার্ক প্রতিষ্ঠায় ‘ব্রেইনস্ট্রোমিং সেশন’ আয়োজন করারও নির্দেশ দিয়েছেন চেয়ারম্যান।
 
সেশন চেয়ারম্যানের দেওয়া ৫ দফা নির্দেশনা নিবিড়ভাবে পর‌্যালোচনাপূর্বক একটি কৌশলপত্র প্রণয়ন করারও নির্দেশ দিয়েছেন মো. নজিবুর রহমান।
 
জাতিসংঘের অধিবেশন শেষে চেয়ারম্যান দেশে ফিরলে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর সে কৌশলপত্র চেয়ারম্যানের নিকট উপস্থাপন করতে হবে।
 
মো. নজিবুর রহমান বলেন, দেশের অর্থনীতি বেগবান হচ্ছে। রাজস্ব আহরণের সম্ভাবনা বাড়ছে। প্রয়াস চালানো সত্ত্বেও সকল ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানকে করের আওতায় আনা যায়নি।
 
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে রাজস্ব আদায়ের গতিশীলতা বজায় রাখা প্রয়োজন। যেসব বাধা আসবে তা নিরসনে চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
 
রাজস্ব সংগ্রহের কাজে অধিকতর সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে সরাসরি পরামর্শ গ্রহণ করার জন্য তিনি সকল পর্যায়ের রাজস্ব কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৬
আরইউ/আরএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।