ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, মানুষের মধ্যে লটারি টেনডেন্সির কারণে বহুবছর ধরেই হায় হায় কোম্পানিতে ইনভেস্ট হচ্ছে। মানুষ প্রতারিত হয়েও আবার ওই দিকেই যায়।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ে যুবকের অর্থ লোপাট: করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সিনিয়র বাণিজ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরীসহ অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, যুবকের প্রতারণায় ক্ষতিগ্রস্তদের ৫০০ অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে একজনও কোর্টে যাননি। একটা কেসও (মামলা) নেই, এখানে কী করা যাবে, কিছুই করার নেই। তারপরও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ঠিক করবো কী করা যায়।
রাজধানীর শাহবাগের আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেটে কয়েকটি দোকান ভাড়া নিয়ে ১৯৯৪ সালে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করে যুবক।
১৮৬১ সালের সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্টের আওতায় আরজেএসসি থেকে নিবন্ধন নেয় প্রতিষ্ঠানটি। পরে উচ্চ সুদের বিনিময়ে আমানত সংগ্রহ ও ঋণদান কর্মসূচি চালু করে যুবক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক তদন্তে যুবকের প্রতারণামূলক কার্যক্রমসহ অবৈধ ব্যাংকিংয়ের চিত্র উঠে আসে ২০০৬ সালে। তখনই এর কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পরে ২০১০ সালের ২৬ জানুয়ারি ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির তালিকা তৈরি করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যুবক-এ প্রশাসক নিয়োগের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সারসংক্ষেপ পাঠালে বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৬
এসই/এমএ