ঢাকা: সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা,জবাবদিহিতা এবং সময় ও অর্থের অপচয় রোধে ই-জিপি পদ্ধতি অর্থনীতিতে অভাবনীয় পরিবর্তন আনবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নগরীর শেরে বাংলানগর এনইসি মিলনায়তনে সিপিটিইউ আয়োজিত ই-জিপি সিস্টেমে ব্যাংকের ভূমিকা ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন ।
তিনি আরও বলেন, এই ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা,দারিদ্র বিমোচন ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা সময়ের ব্যাপার মাত্র। অগ্রগতির এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪০ সালের বাংলাদেশ হবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।
ব্যাংকিং খাত দেশের শিল্প-প্রসারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত। দেশের অর্থনীতির টেকসই গতিশীলতা আনতে ব্যাংকগুলোকে উইন উইন পরিস্থিতিতে কাজ করতে হবে। এ লক্ষ্যে ব্যাংকিং সেবা ও সুদের হার আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত করা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার যোগ্য করে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। দেশটিকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো ও সামনে এগিয়ে যাওয়াই আমাদের কাজ, যোগ করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী।
জাপান, চীন ও সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশের ২০ বছরের তুলনামূলক অর্থনৈতিক সমীক্ষা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, জাপান ৫০ বছরে ৫০ গুণ,চীন ১৯৮০ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত ৫২ গুণ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। আমাদের এখন সে সময় এসেছে। অগ্রগতির বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪০ সালে বাংলাদেশ বিশ্ব অর্থনীতির শক্তিশালী ১০টি দেশের কাতারে সামিল হবে।
এ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সিপিটিইউ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ’স এর উদ্বোধন করেন। বিভিন্ন ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঠিকাদার ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এসময় অনেকের মধ্যে আইএমইডি সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান,বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডাইরেক্ট চিমিয়াও ফান ও সিপিটিইউ এর মহাপরিচালক ফারুক হোসেন বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৬
এমআইএস/এসআই