ঢাকা: ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্স করপোরেশন লিমিটেডে (ডিবিএইচ) ৯৬ মাস মেয়াদে ফিক্সড ডিপোজিট করেছেন একলাখ টাকা। মেয়াদ শেষে সর্বমোট দুই লাখ ৬৫ হাজার টাকা পরিশোধ করার কথা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এমনি এক অভিযোগ দায়ের করেছেন ডা. দিলীপ কুমার সাহা নামের ডিবিএইচের এক গ্রাহক।
অভিযোগে বলা হয়েছে, বেসরকারিখাতের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্স করপোরেশন লিমিটেডে (ডিবিএইচ) ২০০৮ সালে ভাগ্নের (পৃথু সাহা) নামে ৯৬ মাস মেয়াদী একটি একলাখ টাকার ফিক্সড ‘চিলড্রেন ডিপোজিট’ করেন দিলীপ। চলতি বছরের ৭ অক্টোবর স্কিমটির মেয়াদ শেষ হয়েছে।
মেয়াদ শেষে মতিঝিল শাখায় টাকা তুলতে যান দিলীপ কুমার সাহা। চুক্তি মোতাবেক মেয়াদ শেষে ২ লাখ ৬৫ হাজার ৮শ ৪৪ টাকা পরিশোধ করবে ডিবিএইচ। এর মধ্যে ১০ শতাংশ ভ্যাট কেটে রাখলে পাওনার পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ৪৯ হাজার ২শ ৬০ টাকা।
কিন্তু এসময় ২ লাখ ৩ হাজার ৭শ ১৮ টাকা নিতে বলে ডিবিএইচ মতিঝিল শাখার কর্মকর্তারা। ৪৫ হাজার ৫শ ৪২ টাকা কম দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন চার্জ কাটা হয়েছে বলে জানায়।
অভিযোগে বলা হয়, দিলীপ কুমার সাহার ডিপোজিট স্কিমটি খোলার সময় টাকা জমার রশিদে সুদের হার ও মেয়াদ শেষে পরিশোধের পরিমাণ উল্লেখ করা থাকলেও প্রায় অর্ধলাখ টাকা কম দিতে চাওয়ায় তিনি গ্রহণ করেননি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্ট্রিগ্রিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিস ডিপার্টমেন্টে করা অভিযোগে পুরো টাকা ও গ্রাহকের সঙ্গে এ ধরনের প্রতারণার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন ডা. দিলীপ কুমার সাহা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশের হাউজিং খাতে বিনিয়োগ করতে দেশীয় ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, এনজিও ব্র্যাক, গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এবং বিদেশি এইচডিএফসি ও আইএফসির অর্থায়নে ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করে ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্স করপোরেশন লিমিটেডে (ডিবিএইচ)।
প্রধান কার্যালয় ছাড়াও ঢাকার মতিঝিল, উত্তরা, ধানমন্ডি, চট্টগ্রাম ও সিলেটে ৫টি শাখার মাধ্যমে হাউজিংখাতে ১১টি স্কিমে ঋণ বিতরণ এবং ডিপোজিট স্কিমে আমানত সংগ্রহ করছে।
অভিযোগ রয়েছে, ডিপোজিট সংগ্রহের জন্য আমানতকারীদের লোভনীয় অফার দেওয়ার পাশাপাশি সবাইকে একটি নিজের ঠিকানা দেওয়ার স্লোগানে ঋণ বিতরণে গ্রাহককে সুদের হারের বাইরে অনেক চার্জ আদায় করে ডিবিএইচ।
এ বিষয়ে জানতে ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্স করপোরেশন লিমিটেডের (ডিবিএইচ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কিউএম শরীফুল আলার মোবাইলে কল করা হলেও তিনি ধরেননি।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৬
এসই/এএ