ঢাকা: শুভ বিজয়া দশমী আজ। ছুটির দিনে মণ্ডপে মণ্ডপে বাজছে বিদায়ের সুর।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার এবং মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, এদিনও খাসির মাংস কেজিতে ৫০ টাকা বেশি, বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায়।
বেড়েছে দেশি মুরগির দামও। একটি মুরগি (৭শ’ গ্রাম ওজন) বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়, ব্রয়লার মুরগি ১২০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩৯ টাকা। স্থিতিশীল কেবল গরুর মাংসের দাম। বাজার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪৬০ থেকে ৪৮০ টাকা কেজি দরে।
কারওয়ান বাজারের মাংস বিক্রেতা মো. মোতালেব বলেন, পূজা উপলক্ষে দাম কিছুটা বেশি নেওয়া হচ্ছে। দু’এক দিনের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
সবজি বাজারে কাঁচা মরিচ (কালো) বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, শসা ৩০ টাকা, মূলা ৫০ টাকা, টমেটো ১শ’ টাকা, করলা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি, পেঁয়াজ (দেশি) ৩৫ টাকা কেজি আর এক পাল্লা (৫ কেজি) কিনলে ১৫০ টাকা। রসুন (আমদানি) ১৮০ টাকা, দেশি রসুন ১২০ টাকা কেজি। আদা (আমদানি) ১শ’ টাকা, দেশি ১৪০ টাকা কেজি। বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে নতুন সবজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে।
এদিকে হু হু করে বেড়ে চলেছে মোটা চালের দাম। এক মাসের ব্যবধানে কেজি প্রতি ৩ থেকে ৪ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে পাইজাম ও আটাশ চাল। প্রায় প্রতি সপ্তাহে দাম বাড়ায় বিপাকে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ।
তবে রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট এবং কারওয়ান বাজার ঘুরে খুচরা বিক্রেতা ও আড়তদারদের আঙুল মিল মালিকদের দিকে।
কারওয়ান বাজারের চাল বিক্রেতা হাজী আমিন মিয়াজী বাংলানিউজকে বলেন, ‘সব মিল মালিকদের কারসাজি! ওরা সিন্ডিকেট করে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা বেশি দামে কিনে, বেশি দামে বিক্রি করছি’।
নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কুষ্টিয়ার রশিদ রাইস এজেন্সির মালিক আব্দুর রশিদকে ধরলেই চালের দাম বাড়ার রহস্য জানা যাবে’।
যদিও দাম বাড়ার বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন না অনেক ব্যবসায়ী। ক্রেতাদের মন্তব্য, দাম যাই হোক- চাল বিক্রি তো বন্ধ থাকবে না। তাই অসুবিধা কেবল আমাদের।
কৃষি মার্কেটের চালের আড়তদার মো. আবু হোসেন মৃধা বাংলানিউজকে বলেন, চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে এটা অস্বাভাবিক না। তবে সিন্ডিকেটের দিকে আঙুল তারও।
তিনি বলেন, মোটা চালের উৎপাদন কমে গেছে। বাজারে এখন মোটা চালের সংকট রয়েছে। পাওয়া যাচ্ছে না বললেই চলে। প্রধান কারণ হলো, মোটা চাল উৎপাদন কৃষকের লাভ হচ্ছে না। আর সিন্ডিকেট তো কিছুটা রয়েছেই।
কারওয়ান বাজারে আটাশ ধানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা থেকে ৪২ টাকা কেজি দরে। একই বাজারে পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৩ টাকা, মিনিকেট ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৮ টাকা। নাজির শাইল চাল ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৬২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষি মার্কেট পাইকারি বাজারে দাম তুলনামূলক কম। আটাশ ৩৮ থেকে ৩৯ টাকা কেজি, মিনিকেট ৪৬ থেকে ৪৭ টাকা কেজি আর পাইজাম ৩৬ থেকে ৩৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাস খানেক আগেও প্রতি কেজি পাইজাম চাল ছিলো ৩২ থেকে ৩৬ টাকা কেজি আর পাইজাম ৩৪ থেকে ৩৭ টাকা, দাবি বিক্রেতাদের।
গত এক সপ্তাহে বাড়েনি মাছের দাম। বড় ইলিশের হালি (১ কেজি ওজন) ৩,২০০ টাকা থেকে ৩,৫০০ টাকা আর ছোট ইলিশের হালি (৫শ’ গ্রাম বা তার চেয়ে কম) ১,৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় রুই প্রতি কেজি ৩শ’ টাকা, ছোট রুই ২৬০ টাকা কেজি, কাতলা মাছ ৩শ’ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হচ্ছে। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬শ’ থেকে ৭শ’ টাকা কেজি দরে। তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ২শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৬
এসএম/এটি