ঢাকা: উন্নয়ন কার্যক্রম প্রান্তিক পর্যায়ের জনগণের কাছে তুলে ধরতে এবং এ কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে উন্নয়ন মেলা করবে সরকার।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসকে সামনে রেখে প্রতি বছরের ৯ থেকে ১১ জানুয়ারি তিনদিনের এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে।
মেলা বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন, বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, মাইক্রো ফাইন্যান্স অর্থরিটিসহ অন্যান্য সরকারি সংস্থার প্রধানরা।
বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে গর্ভনরের সভাপতিত্বে একটি বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারের ভবিষ্যত পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়নে জনগণকে উদ্বুব্ধ করা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারি কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে স্থানীয় সমস্যা সর্ম্পকে মতবিনিময় ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনা প্রণয়ণে এ মেলার আয়োজন করা হবে।
মেলায় শেখ হাসিনা অর্জিত আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতি, সাফল্য, পুরস্কার সর্ম্পকে প্রচার করা হবে। রুপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ এ উন্নত বাংলাদেশের প্রস্তাবনা সর্ম্পকে জনগণকে উদ্বুব্ধ করা, রুপকল্প ২০৪১ অর্জন এবং বাস্তবায়নের সঙ্গে জনগণকে সম্পৃক্ত করা হবে।
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারের সাফল্য একং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সর্ম্পকে ধারণা দেওয়াসহ লক্ষ্য বাস্তবায়নে জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা।
প্রত্যেক জেলার একটি অনন্য পণ্য নিয়ে ওই জেলার ব্রান্ডিং করা হবে। নারীর ক্ষমতায়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরা হবে। তথ্য-প্রযুক্তি, সেবাখাত, অবকাঠামো উন্নয়ন ইত্যাদি খাতে বাংলাদেশের অর্জন বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরা হবে।
জেলা ও উপজেলার উন্নয়ন চাহিদা সর্ম্পকে অবগত হওয়া, স্থানীয় সমস্যার গণশুনানির মাধ্যমে সঙ্গে সঙ্গে সমাধান দেওয়া হবে। সরকারি-বেসরকারি সংস্থা কর্তৃক জনগণকে প্রদেয় সেবা সহজলভ্য করতে মেলায় তাৎক্ষণিক করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। মেলা থেকে জনগণকে সচেতনতা, সহায়তা ও সমস্যার সমাধান দিতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার জোর প্রচেষ্টা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৬
ইএস/জেডএস