ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

যুক্তরাষ্ট্রে 'প্রাণ' অফুরান

মাহমুদ মেনন, হেড অব নিউজ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৬
যুক্তরাষ্ট্রে 'প্রাণ' অফুরান ছবি-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

যুক্তরাষ্ট্রে এসে নির্বাচনের ডামাডোলের মধ্যেও একটি বিষয় নজরে এসেছে। গত প্রায় ২০ দিনে আধা ডজন খানেক অঙ্গরাজ্যে ঘুরেছি। আর প্রায় সবগুলোতেই বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে। আর কথা হওয়া মানেই চায়ের আড্ডা।

নিউইয়র্ক থেকে: যুক্তরাষ্ট্রে এসে নির্বাচনের ডামাডোলের মধ্যেও একটি বিষয় নজরে এসেছে। গত প্রায় ২০ দিনে আধা ডজন খানেক অঙ্গরাজ্যে ঘুরেছি।

আর প্রায় সবগুলোতেই বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে। আর কথা হওয়া মানেই চায়ের আড্ডা। আর আড্ডা মানেই হয় কোনও দোকান কিংবা রেস্টুরেন্ট। আর অবধারিতভাবেই তা ছিলো কোনও বাংলাদেশি আমেরিকানের মালিকানায়। এসব দোকান-রেস্তোরাঁ গুলোতে বারবারই চোখে পড়েছে একটি বাংলাদেশি পণ্য- 'প্রাণ'। বিস্ময় জানালে- প্রায় সব দোকানিই জানালেন, এখানে তাদের দোকানে দোকানে প্রাণ-পণ্যের বেশ চাহিদা। বাংলাদেশিরা তো বটেই, খোদ আমেরিকানদেরও কেউ কেউ প্রাণের নানা পণ্য কেনেন।

অবাক হলাম। জানতে চাইলাম, এত প্রাণ আসে কিভাবে। একজনের জবাব ছিলো- প্রাণ এখানে অফুরান।

এসব দোকানের সেলফে সেলফে দেখেছি- প্রাণের জুস, মসলা, তেল, আচার, মুড়ি, চানাচুর সব কিছু। প্রাণের টোস্ট নাকি যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশি কমিউনিটির অনেকের কাছেই খুব প্রিয়।

এ নিয়ে বাংলানিউজের কথা হয় নিউইয়র্কে বাংলাদেশি আমরিকান ব্যবসায়ী মান্নান সাঈদের সঙ্গে। সবগুলো বাংলাদেশি কমিউনিটিতে- অর্থাৎ জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকা, ব্রুকলিন, ব্রঙ্কসে রয়েছে তার মান্নান হালাল সুপারমার্কেটের চেইন আউটলেট। এর সবগুলোতেই প্রাণের পণ্যগুলো বেশ চলে বলেই জানালেন তিনি।

মান্নান বলেন, এটা আমাদের কাছেও একটি গৌরবের বিষয়। বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য আমরা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিক্রি করতে পারছি।

জ্যাকসন হাইটসে প্রধান স্টোরের অফিসকক্ষে বসে তিনি বলেন, এখানকার বাজারে কোনও পণ্য বিক্রি করার জন্য তাকে মানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। পরীক্ষায় নিশ্চিত হতে হয় এর গুণগত সকল মান ও উপাদান রয়েছে কি না। প্রাণ সে সব পরীক্ষায় ভালোভাবেই উত্তীর্ণ। মান্নান সাঈদ বলেন, তার স্টোরের একটি সুনাম রয়েছ। কেবল বাংলাদেশি কমিউনিটিরই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের মূল ধারার ক্রেতা, অন্যান্য দেশের অভিবাসী ক্রেতারাও আসেন। তারা প্রাণের কিছু কিছু পণ্য খুব আগ্রহ নিয়েই কেনেন।

কথা হচ্ছিলো লস এঞ্জেলেসের লিটল বাংলাদেশে দেশী নামের একটি স্টোরের বাংলাদেশি মালিকের সঙ্গেও। তিনিও জানান, প্রাণের কিছু কিছু পণ্য রয়েছে যা ক্রেতারা খুঁজে খুঁজে কিনে নেন। এই স্টোরে চোখে পড়লো একটি বিশেষ সেলফই রয়েছে প্রাণের জন্য। যাতে থরে থরে প্রাণের পণ্য সাজানো।

দোকানি জানালেন, প্রাণের ডিলাররা নিয়মিতভাবে তাদের পণ্য সরবরাহ করছেন। ফলে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী তারা বিক্রি করতে পারছেন।

ভার্জিনিয়ায়, বোস্টনে, ডালাসেও চোখে পড়েছে প্রাণের পণ্য বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি স্টোরগুলোতে। আর নিউইয়র্কে কেবল বাংলাদেশি নয় ভারতীয় স্টোরগুলোতেও বিক্রি হয় প্রাণের পণ্য। জ্যাকসন হাইটসের সবজি মন্ডি নামের ভারতীয় মালিকানাধীন সুপার স্টোরেও চোখে পড়েছে থরে থরে সাজানো প্রাণের পণ্য। দোকানিরা জানিয়েছেন, তাদের এখানেও প্রাণের পণ্যের চাহিদা রয়েছে। সব মিলিয়ে সত্যিই মনে হয়েছে- যুক্তরাষ্ট্রে 'প্রাণ' অফুরাণ।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৬
এমএমকে/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।