ঢাকা: রাজধানীর পাইকারি এবং খুচরা বাজারগুলোতে সবজি ও মাছের দাম কমলেও বেড়েছে মশুর ডালের দাম। খুচরা বাজারে কেজি প্রতিদাম বেড়েছে ২০টাকা করে।
শনিবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর কাওরান বাজার ও বাড্ডার কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
কাওরান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি মশুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ ও ইন্ডিয়ান মশুর বিক্রি হচ্ছে ৯০টাকা কেজি দরে।
কিন্তু রাজধানীর বাড্ডার খুচরা বাজারে দেখা গেছে, দেশি মশুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা ও ইন্ডিয়ান মশু ১১০ টাকা দরে। যা দেশি এবং বিদেশি দু’টোতেই কেজি প্রতি ২০টাকা করে বেশি।
মশুর ডালের দাম কমা-বাড়ার বিষয়ে কাওরান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী আরফান ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, মশুর ডাল পাইকারি বাজারে ১২০ টাকা রাখা হচ্ছে। এছাড়া গত সেপ্টেম্বরে দাম কমেছে ডালের। এরপর থেকে ডালের দাম বাড়েনি। কিন্তু খুচরা বাজারে যদি দোকানদাররা বেশি বিক্রি করে সেখানে আমাদের কিছু করার নাই।
বাড্ডার রাসেল মুদি শপের মালিক জসিম বাংলানিউজকে বলেন, মশুর ডালের দাম যে যেমন পারছে তেমন বিক্রি করছে। কেউ ১৪০, আবার কেউ ১৫০ টাকাও বিক্রি করছে। কিন্তু পাইকারি বাজারে কেমন দামে কেনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এক এক সময় আমাদের ভিন্ন ভিন্ন দামে ক্রয় করতে হয়। এখানে দামের কোনো ঠিক নেই। আর আমরা যেমন কিনব তেমন-ই তো বিক্রি করব। লোকসান হবে এমন ব্যবসা করে তো আর লাভ নেই।
কাওরান বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে আসা চাকরিজীবী আতাউর রহমান বাংলানিউজকে জানালেন, কাঁচা বাজারের কোনো কিছুরই মূল্য ঠিক থাকে না। গত দু’দিন আগে ১২৫টাকা করে কিনলাম। আর শনিবার কিনতে হচ্ছে ১৪০টাকা। এভাবে যদি নিত্য পণ্যের দাম বাড়তেই থাকে তাহলে রাজধানীতে থাকা মুশকিলই হবে।
রাজধানীর বড় এই পাইকারি বাজারে দেখা গেছে, পুরনো আলু ২৮টাকা, নতুন আলু ১০০টাকা। শিম ৩৮ থেকে ৪৫ টাকা, ঝিঙ্গা ৫৫ টাকা, মূলা ২৭ টাকা, চিচিঙ্গা ৫৫ টাকা, করলা ৪৫ টাকা, ঢেঁড়স ৪৭ টাকা, পটল ৪৫ টাকা, পেঁপে ২৪ টাকা থেকে ৩২ টাকা, কচুরলতি ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া লালশাক, লাউশাক, পালং শাকসহ বিভিন্ন ধরনের শীতের শাকের আঁটি ১৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পুদিনাপাতা ১০০ গ্রাম ২৩ টাকা, ধনেপাতা প্রতি ১০০ গ্রাম ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
শসা প্রতিকেজি ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৫৫ টাকা, লম্বা বেগুন ৩৫ টাকা, গোল বেগুন ৪৩ টাকা, গাজর ৪৫ টাকা, বরবটি ৬৫ টাকা। প্রতিকেজি নতুন পেঁয়াজ ৩০ টাকা থেকে ৪৫ টাকা, চায়না বড় রসুন ১৯০ টাকা, দেশি রসুন ১২০ টাকা, একদানা রসুন ১৫০ টাকা, প্রতিটি ফুলকপি ২৮ টাকা, ব্রকলি (সবুজ ফুলকপি) ৪৫ টাকা, বাঁধাকপি ২৫ টাকা, লাউ ৩০ টাকা এবং প্রতিহালি কাঁচকলা ২৫ টাকা ও লেবু ২০ থেকে টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে মোটা চালের দাম কমেছে কেজি প্রতি ২টাকা করে। ৪৩ টাকার মোটা চাউল বিক্রি হচ্ছে ৪১টাকায়। আটাশ ৪২ টাকা, মিনিকেট ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, জিরা নাজির ৫৫ টাকা, পাইজাম ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজার করতে আসা লুৎফুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, মোটা চালের দাম কমেছে। আগে মোটা চাল বস্তা প্রতি (৫০ কেজি) বিক্রি হতো ২১৫০ টাকা। যা এখন বিক্রি হচ্ছে ২০১৫টাকায়। তবে অন্যান্য দ্রব্যমূল্যের দাম অপরিবর্তীত থাকলে তাদের মতো মধ্যবিত্তদের জন্য ভালো হয় বলেও মত দেন তিনি।
অন্যদিকে হালি প্রতি দেশি মুরগি ১২০০টাকা, ব্রয়লার মুরগি কেজি ১৪০ টাকা, লেয়ার মুরগি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৪২০ এবং খাসির মাংস ৫৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাতল মাছ ৩৩০ টাকা, রুই মাছ ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, পাঙ্গাস ১৩০ টাকা, চিংড়ি (বড়) ১ হাজার ২৫০ টাকা, চাষের কৈ ২০০ টাকা, সিলভার কাপ ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৬
এসজে/এসএইচ