ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাজার সয়লাব শীতকালীন সবজিতে, কমছে না দাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৬
বাজার সয়লাব শীতকালীন সবজিতে, কমছে না দাম ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলো ভরে উঠেছে শীতকালীন বাহরি সব সবজিতে। তবে পর্যাপ্ত সরবরাহ থকলেও সে তুলনায় কমছে না দাম। বিগত তিন সপ্তাহ ধরে বাজারগুলোতে শীতের সবজির দাম মোটামুটি একই রকম।

ঢাকা: রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলো ভরে উঠেছে শীতকালীন বাহরি সব সবজিতে। তবে পর্যাপ্ত সরবরাহ থকলেও সে তুলনায় কমছে না দাম।

বিগত তিন সপ্তাহ ধরে বাজারগুলোতে শীতের সবজির দাম মোটামুটি একই রকম। কাঁচা মরিচ ছাড়া অন্য সব সবজির দাম না কমে বরং বাড়ার প্রবণতাও দেখা গেছে।

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য মেলে।

ক্রেতা শাহিন অভিযোগ করে বলেন, শীত যত ঘনিয়ে আসবে সবজির দাম কমবে- এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রায় একমাস যাবত একই দামে সবজি কিনছি, কমার কোনো লক্ষণ নেই।

গতকাল নতুন আলু ছিলো ৮০ টাকা। আজ সকালে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি।  

কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আহাদ আলী বাংলানিউজকে বলেন, সবজির দাম প্রথমে একটু কমলেও আর দাম কমছে না, কথাটা ঠিক।   এর কারণ খেত থেকে পাইকাররা বেশি দামে আনছে, তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। সরবরাহ আরও বাড়লে সবজির দাম কমে যাবে।

শুক্রবার বাজারে ফুলকপি, বাঁধাকপি আকারভেদে ২৫-৩০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, সিম ৬০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা কেজি। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। ঢেঁড়স, রেখা, ঝিঙা, জালি, করলা, বরবটি, ধুন্দল ও পটল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৬০ টাকা করে। বেগুন প্রতিকেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুরমুখি ৩৫ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা, শসা ৩০ টাকা, কাঁচাকলা ৩০ টাকা হালি, লেবু ২৫ টাকা হালি, মিষ্টিকুমড়া (ছোট) ৪০ টাকা।    পুরনো আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৩০-৩২ টাকায়।

প্রতি কেজি পেঁয়াজ (দেশি) ৪০-৪২ টাকা। এছাড়া আমদানি করা পেঁয়াজ ৩০ টাকা, রসুন ১২০ থেকে ২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আদা বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকায়।

এছাড়া লাল শাক, পালং শাক, সরিষা শাক, মুলা শাক ও লাউ শাক পাওয়া যাচ্ছে আঁটি ১০ টাকা থেকে ৩০ টাকায়।

মোটা চালের বস্তা (৫০ কেজি) গুটি স্বর্ণ, হ্যাচকা নাজিরশাইল, পাইজাম ও আটাশ ১ হাজার ৯শ টাকা, সাদা গুটি ১৭শ টাকা, চিকন মিনিকেট ও নাজিরশাইল কেজিপ্রতি ৪৭ থেকে ৫২ টাকা, পোলাউয়ের চাল ৮০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চালের দাম প্রসঙ্গে আড়তদার রহিম বলেন, মোটা চালের দাম ১/২ টাকা কমলেও, অন্যান্য চালের আগের দাম রয়েছে। তবে নতুন চাল বাজারে এলে চালের দাম কমবে।

এদিন প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭২ টাকায়। মসুর ডাল (দেশি) মানভেদে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, (আমদানি) মানভেদে ১০০ থেকে ১৩০, মুগ ডাল (মানভেদে) ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সয়াবিন তেল প্যাকেটজাত ১০২ টাকা, খোলা ৯৩ টাকা।

মাছ ও মাংস: ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগিতে গত সপ্তাহের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। ১৩৫ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার। লেয়ার ১৬০ টাকা। এছাড়া আকারভেদে দেশি মুরগি কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৪০ টাকা। পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ১৫০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা।

গরু ও খাসির মাংসের (বাজারভেদে) ৪২০ থেকে ৪৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬২০ টাকায়।

মাছের বাজারে রুই মাছ (ছোট) ১৮০ টাকা, রুই (বড়) ২২০ টাকা কেজি। ছোট কাতলা ১৪০-২৫০টাকা, চিংড়ি (ছোট) ৪০০ টাকা কেজি, তেলাপিয়া ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৬
এমসি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।