ঢাকা: বয়সের সঙ্গে মিল রেখে সন্তানের ঘরটি কেমন করে সাজানো যাবে, তা নিয়ে চিন্তিত থাকেন অনেক বাবা-মা। অভিভাবকদের এক্ষেত্রে সহায়তা করছেন দেশি ইন্টেরিয়র ডিজাইনাররা।
শিশুদের বয়সের সঙ্গে মিল রেখে চাইল্ড রুম তৈরি করে তারা এর ডামি প্রদর্শন করেছেন ‘হোমফেস্ট-২০১৬’ এ।
রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শেষ হওয়া হোমফেস্টের বিভিন্ন স্টলে সেগুলো প্রদর্শিত হয়। দু’দিনের হোমফেস্ট শেষ হয় শনিবার (০৩ ডিসেম্বর) রাত আটটায়।
অভিভাবক শ্রেণীর ক্রেতাদের একটি অংশের ভিড় ছিলো শিশুদের ঘর সাজানোর স্টলগুলোতে।
শিশুদের জন্য তৈরি ঘরগুলো সাজানো হয় নানা রঙের সব আসবাবপত্র দিয়ে। বিশেষ করে রাখা হয়েছিলো বর্ণিল সব খেলনার ব্যবস্থা। খাটের উচ্চতাও তৈরি করা হয় শিশুদের উপযোগী করে। রাখা হয় মৃদু আলো, যা শিশুদের চোখে আঘাত করবে না।
সন্তানের ঘরটি ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের দিয়ে সাজাতে খরচটা বেশি পড়বে ভেবে অনেকেই পিছিয়ে পড়তে পারেন। কিন্তু বাজেট নিয়ে খুব একটা ভাবার প্রয়োজন নেই বলে জানান মেটিওরা ইন্টেরিয়রের কর্মকর্তা মো. মিরাজুর রহমান।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাচ্চাদের ঘরটিই সাজানো উচিত সবচেয়ে সচেতনভাবে। কারণ, শিশুরা যে ঘরে থাকছে, তা তাদের মনে প্রভাব ফেলতে পারে বেশি। মানুষের মস্তিস্কের একটি বড় অংশ তৈরি হয় শিশু বয়সেই। এ ক্ষেত্রে বাজেট নিয়ে ভাবার খুব একটা প্রয়োজন নেই। এখনকার ইন্টেরিয়র ডিজাইনাররা অভিভাবকদের চাহিদা ও বাজেট অনুসারে শিশুদের ঘর নানা ভাবে সাজিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে খরচ ৩০ হাজার টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত পড়তে পারে’।
নিজের সন্তানের ঘর সাজাতে মেলা ঘুরে দেখছিলেন মা রাজিয়া সুলতানা। এই ব্যাংক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, ‘এক মায়ের কাছে তার পুরো দুনিয়া থাকে একদিকে, আর সন্তান অন্যদিকে। আমরা মফস্বল শহরে মানুষ হয়েছি। ডিজাইনার দিয়ে ঘর সাজানোর বিষয়ে তখন জানতামও না। কিন্তু এখন আমি চাই, আমার সাধ্যের মধ্যে সন্তানকে সর্বোচ্চ সুবিধা দিতে। আমার সন্তানের বয়স ছয় বছর। আমিও চাই, একজন ডিজাইনারের মাধ্যমে সন্তানের ঘরটি সাজাতে। বাজেটও দেখছি নিজেদের ক্ষমতার ভেতরেই আছে’।
‘আমি বলবো, এ ধরনের উদ্যোগ আরো নেওয়া উচিত’।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৬
ইউএম/এএসআর
** তুলির আঁচড়ে স্বপ্নের বাড়ি