ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৬
জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে

২০১৬-১৭ অর্থবছরে জিডিপি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ৭.২ শতাংশ ধরা হলেও তা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

ঢাকা: ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জিডিপি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ৭.২ শতাংশ ধরা হলেও তা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

তিনি বলেন, এবার জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭.২ শতাংশ।

কিন্তু পরিকল্পনামন্ত্রী জানিয়েছেন এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৭.৫ শতাংশে পৌঁছবে।

২০১৪-১৫ অর্থবছরে আমাদের জিডিপি ছিলো ৬ শতাংশ, ১৫-১৬ অর্থবছরে অর্জিত হয় ৭.১ শতাংশ আর এবার আমাদের অর্জন দাঁড়াবে ৭.৫ শতাংশে।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, ইকোনোমিক্স অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্স- আইসিবিএমইএসএস ২০১৬’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

উত্তরা ইউনিভার্সিটি, এমডিসা ও জিবিএমএফ এর যৌথ উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন চলবে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

বাংলাদেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ দেশকে যারা একসময় বটমলেস বাসকেট বলতেন, তারাই আজ বলছেন ‘বাংলাদেশ ইজ নাথিং বাট এ মিরাকল’। স্বাধীনতার সময় সাত কোটি মানুষের যেখানে খাদ্য সংকট ছিলো এখন ১৬ কোটি মানুষ হওয়া স্বত্ত্বেও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে খাদ্য রপ্তানি করছে।  

২০২৪ সালের মধ্যে দেশের প্রতি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছবে বলেও জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে, ২৪ সালে তা ২৪ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছবে। তখন প্রতিটি ঘর বিদ্যুতের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে।

দেশে হতদরিদ্র মানুষ ২ শতাংশের নিচে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আমাদের এমডিজি অর্জনের পথে। এখন আমরা এসডিজির জন্য কাজ করছি। বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয় ও ৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবে।

আমাদের গড় আয়ু বর্তমানে ৭১ বছর, যা ভারতের চেয়ে বেশি। মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যুর হারও ভারতের চেয়ে কম। অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হওয়ার কারণে গ্রামগুলোও শহরে রূপান্তরিত হচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীরাও সামনে চলে আসছেন। সবক্ষেত্রেই নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে।

এ সময় মন্ত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন এবং সম্মেলনের সাফল্য কামনা করেন।

সম্মেলনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ২৫০ জনেরও বেশি বিশেষজ্ঞ ও গবেষক, ৩৮ জনেরও বেশি শিক্ষাবিদ অংশ নেবেন। বিশ্বের ৯৬টি বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্থার ১৫০টির বেশি গবেষণাপত্র উপস্থাপিত হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এম আজিজুর রহমান, উপ-উপাচার্য ড. ইয়াসমিন আরা লেখা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৬
পিএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।