ঢাকা: নিখুঁত ও নান্দনিক ডিজাইনে নিরাপদ স্থাপনা নির্মাণের পাশাপাশি পেশাদারিত্ব, প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন, উন্নত সেবা দিয়ে সবার মনে জায়গা করে নিয়েছে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং কোম্পানি ডম-ইনো বিল্ডার্স লিমিটেড।
সাধ ও সাধ্যের মধ্যে মনের মতো ফ্ল্যাট ও বাড়ি নির্মাণে জুড়ি নেই প্রতিষ্ঠানটির।
ডম-ইনো’র জেনারেল ম্যানেজার ও হেড অব সেল্স শরিফুল ইসলাম রাহিদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘ইউনিক ডিজাইন, নিজস্ব রেডি মিক্স, উন্নত মান, নিরাপদ ও টেকসই নির্মাণ, পেশাদারিত্ব, কমিটমেন্ট, ওয়ান উইন্ডো সার্ভিস নিশ্চিতের পাশাপাশি কম সময়ে অ্যাপার্টমেন্ট ও ফ্ল্যাট হস্তান্তর করে ডম-ইনো’।
‘আমাদের শক্তির জায়গা নিজস্ব ও অদ্বিতীয় ডিজাইন, যেখানে অনেক কোম্পানি ডিজাইন আউটসোর্সিং করছে’।
রাহিদ বলেন, ‘দিন শেষে নান্দনিক সুন্দর, নিখুঁত ডিজাইনের মজবুত বাড়ি উপহার দিচ্ছে ডম-ইনো’। গত বুধবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হয়েছে ৫ দিনব্যাপী রিহ্যাব (রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) মেলা। প্রতিবারের মতো এবারও মেলার কো-স্পন্সর ডম-ইনো।
রোববার (২৫ ডিসেম্বর) মেলার শেষ দিন। মেলা চলছে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
মেলা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিদিনই ডম-ইনোর স্টলে উপচেপড়া ভিড় লেগেই থাকছে।
ডম-ইনো’র শরিফুল ইসলাম রাহিদ বলেন, ‘মেলার সব দর্শক কোথাও যান না যান, একবারের জন্য হলেও ডম-ইনোতে ঢু মারবেনই’।
জনপ্রিয়তার কারণ তুলে ধরে রাহিদ বলেন, ‘সবচেয়ে বড় শক্তি আমাদের কাস্টমার গ্রুপ। কারণ, কাস্টমাররা নিজেরা যেমন বার বার আসেন, তেমনি তাদের রেফারেন্সে অনেক আসেন’।
এবারের মেলায় ৭০টি প্রজেক্ট নিয়ে এসেছে ডম-ইনো। মেলায় বুকিং দিলে রয়েছে বিশেষ মূল্য ছাড়।
মেলার ২৫তম এ আয়োজনে থাকছে ১৭৫টি স্টল। মেলায় ৩০টি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ও অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
শরিফুল ইসলাম রাহিদ প্রথম সারির রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং কোম্পানি ডম-ইনো’র বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যত পরিকল্পনাসহ নানা সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরেন বাংলানিউজের কাছে।
তার মতে, আইএসও ৯০০১:২০০৮ সার্টিফাইড (ISO 9001:2008 Certified) ডম-ইনো রিয়েল এস্টেট সেক্টরের একটি বিশ্বস্ত নাম।
রাহিদ জানান, রাজধানী ঢাকার সব এলাকায় রয়েছে ডম-ইনো’র প্রজেক্ট। ৭০টি প্রজেক্ট বাজারে নিয়ে এসেছে কোম্পানিটি। ৫০টির বেশি জমি সাইন করা আছে। যেগুলো শিগগির বাজারে আসবে।
এছাড়া একক বাড়ির বাইরে ১০০টির মতো কনডোমিনিয়াম (গুচ্ছ অ্যাপার্টমেন্ট) প্রকল্প চলমান রয়েছে ঢাকায়।
গুলশান, বনানী, ধানমণ্ডি, উত্তরা, মিড টাউন, মিরপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ৪১০টি প্রজেক্ট হাতে রয়েছে ডম-ইনো’র।
কম সময়ে সবচেয়ে বেশি অ্যাপার্টমেন্ট হ্যান্ডওভার করেছে এ প্রতিষ্ঠানটি। গত ১৫ বছরে ঢাকা শহরে ৩০০টি অ্যাপার্টমেন্ট হস্তান্তর করেছে ডম-ইনো।
এতোদিন ঢাকা শহরকে বেইজ ধরে কাজ করলেও শিগগিরই বিভাগীয় শহরে প্রজেক্ট নিয়ে যাচ্ছে রিয়েল এস্টেট কোম্পানিটি। বিভাগীয় শহরের পর মফস্বল পর্যন্ত প্রকল্প নিয়ে যাবে ডম-ইনো।
সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে মধ্যবিত্ত, উচ্চ মধ্যবিত্তদের বাইরে নিম্নবিত্তদের জন্য ঢাকা ও ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ৩/৪টি স্যাটেলাইট সিটি করারও পরিকল্পনা নিয়েছে ডম-ইনো। কম টাকা ও দীর্ঘ কিস্তির সুবিধার এসব প্রকল্প অদূর ভবিষ্যতে বাজারে নিয়ে আসবে নেতৃত্বস্থানীয় রিয়েল এস্টেট কোম্পানিটি।
জমি কিনে কিংবা জমি শেয়ারিং করে ভবন নির্মাণের বাইরেও আলাদা কনস্ট্রাকশন ইউনিট রয়েছে ডম-ইনো’র। যার মাধ্যমে ডম-ইনো চুক্তি ভিত্তিক স্থাপনা নির্মাণ করে থাকে।
‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড’ মেনে ভূমিকম্পসহ দুর্যোগ মোকাবেলার উপযোগী টেকসই ভবন নির্মাণ করে ডম-ইনো। নিরাপত্তার সঙ্গে নিখুঁত ও নান্দনিক ডিজাইনের বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত করে কোম্পানিটি।
ডম-ইনো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবদুস সালাম নিজেও একজন স্বনামধন্য স্থপতি এবং এর মাদার কনসার্ন প্রোফাইল লিমিটেড।
**কুয়াকাটা সাগরপাড়েও বসুধা, মেলায় ছাড়!
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৬
এমইউএম/এএসআর