ঢাকা: এলসি, বায়িং কন্ট্রাক্ট, চুক্তি, পার্চেজ অর্ডার বা অগ্রিম পরিশোধ যে পদ্ধতিতেই তৈরি পোশাক রপ্তানি করা হোক না কেন মোট রফতানি মূল্যের শূন্য দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ হারে শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে জমা দিতে হবে।
এলসি ও কন্ট্রাক্ট পদ্ধতিতে রপ্তানির পাশাপাশি অ্যাডভান্স পেমেন্ট’র বিপরীতে অর্থ কর্তনের বিষয়টি স্পষ্ট করতে বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের আলোকে জারি করা প্রজ্ঞাপনটি বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত সব অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও প্রিন্সিপাল অফিসে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এলসি, বায়িং কন্ট্রাক্ট, চুক্তি, পার্চেজ অর্ডার বা অগ্রিম পরিশোধ যে পদ্ধতিতেই তৈরি পোশাক রপ্তানি করা হোক না কেন মোট রফতানি মূল্যের শূন্য দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ হারে শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে জমা দিতে হবে।
এ অর্থ নিয়ে বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সোনালী ব্যাংকের রমনা কর্পোরেট শাখায় খোলা ‘সেন্ট্রাল ফান্ড’ (আরএমজি সেক্টর) হিসাবে জমার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের কল্যাণে আলাদা তহবিল গঠন করেছে সরকার।
সংশোধিত শ্রম আইনের বিধিমালায় পোশাক রপ্তানি প্রতিটি চালানের ওপর অর্থ কেটে রাখার মাধ্যমে এ তহবিল গঠনের কথা বলা হয়। বিজিএমইএ’র হিসাব অনুযায়ী, এ খাতে বছরে কম-বেশি ৮০ কোটি টাকা জমা হবে। চলতি বছরের ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৮ কোটি ৬২ লাখ জমা হয়েছে।
শ্রমিকদের আপদকালীন প্রয়োজনে এ অর্থ কাজে লাগানো হবে। যেমন, শ্রমিকদের দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু বা স্থায়ী অক্ষমতা বা অঙ্গহানী হলে ৩ লাখ টাকা, চাকরিরত অবস্থায় অসুস্থতার কারণে স্থায়ী অক্ষম হলে ২ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হবে। এছাড়া শ্রমিকদের মেধাবী সন্তানদের বৃত্তি প্রদান এবং বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণে তহবিলের অর্থ কাজে লাগানোর কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৬
এসই/জেডএস