পরে সব কাস্টমস কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশনা জারি করা হয়। নির্দেশনায় বলা হয়, নথি যেন যথাযথভাবে সংরক্ষিত থাকে ও না হারায় সে বিষয়ে সব কমিশনার বা ডিজি যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন।
যদি কোনো কারণে হারানো যায় বা রাজস্ব ক্ষতি হলে সংশ্লিষ্ট কমিশনার বা ডিজি দায়ী থাকবেন। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খানকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটি অন্য দুই সদস্য হলেন- জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শুল্ক নীতি শাখার প্রথম সচিব এম ফখরুল আলম, সিআইসির যুগ্ম পরিচালক আবু ওবায়দার।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের একটি গার্মেন্টসে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমসের বিপুল পরিমাণ স্পর্শকাতর নথির সন্ধান পায় ও জব্দ করা হয়।
কিভাবে এসব নথি সেখানে গেলো বিষয়টি তদন্ত করছে শুল্ক গোয়েন্দা। শুল্ক স্টেশনের নিরাপত্তা ও নথি রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত বিপজ্জনক।
অন্যান্য শুল্ক স্টেশনে অনুরুপ কোনো ঘটনা ঘটেছে কিনা কিংবা ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যেন না ঘটে তা দেখার, তদন্ত ও তদারকির জন্য এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিকে সব শুল্ক স্টেশনের নথি ব্যবস্থাপনা পরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
কমিটি নথি ব্যবস্থাপনা পরীক্ষা ও পর্যালোচনা পাশাপাশি কোনো নথি হারানো বা চুরি হয়েছে কিনা, নথি ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ইত্যাদি খতিয়ে দেখবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৬
আরইউ/জেডএস