ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বড়পুকুরিয়া খনি শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের অবস্থান ধর্মঘটে

উপজেলা করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৭
বড়পুকুরিয়া খনি শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের অবস্থান ধর্মঘটে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি (ফাইল ফটো)

পার্বতীপুর (দিনাজপুর):  স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেছে। ফলে খনি থেকে কয়লা উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।

রোববার (৮ জানুয়ারি) দুপুর থেকে শ্রমিকরা সারফেজে ও খনি ভূগর্ভের ১ হাজার ৪শ’ ফুট নিচে নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করে এ কর্মস‍ূচি শুরু করে।

জানা গেছে, ২০ বছর ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ১ হাজার ৪১ জন শ্রমিক কয়লা খনিতে কাজ করে আসছেন।

তাদের দৈনিক মজুরি দেওয়া হয় সারফেজে ২৯৭ টাকা এবং ভূ-গর্ভে ৩৫০ টাকা মাত্র। মাসে একজন শ্রমিক ১৮-২০ দিনের বেশি কাজ করতে পারেন না। ফলে মাস শেষে তাদের বেতন দেওয়া হয় ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা। এই টাকা দিয়ে তাদের পরিবার নিয়ে অনেক কষ্টে দিনযাপন করতে হয়।

খনির বর্তমান এমএন্ডপি চায়না ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিএমসি-এক্সএমসি’র সঙ্গে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে চুক্তি শেষ হবে। ইতোমধ্যে খনি কর্তৃপক্ষ এমএন্ডপি ঠিকাদার নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

২০১১ সালে খনি কর্তৃপক্ষ বলেছিল খনির এমএন্ডপি ঠিকাদারের সঙ্গে পরবর্তী চুক্তির সময় শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী করা হবে। কিন্তু তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের বিষয়ে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

খনি কর্তৃপক্ষের নানা টালবাহানার মুখে রোববার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত খনি ক্যাম্পাসে প্রশাসনিক ভবনের পাশে কয়েকশ’ শ্রমিক সমাবেশ করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে অনিদিষ্টকালের জন্য অবস্থান ধর্মঘট শুরু করে।

পরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান বলেন, গত তিন মাস থেকে কয়েক দফা চিঠি দিয়ে খনি কর্তৃপক্ষকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শ্রমিকদের দাবি বাস্তবায়নের জন্য আহবান জানানো হয়। কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে কর্ণপাত না করায় ১৪ ডিসেম্বর থেকে স্ব স্ব স্থানে অবস্থান করে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান ধর্মঘট শুরু করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।

সে সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের হস্তক্ষেপে এবং খনি কর্তৃপক্ষের অনুরোধে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।

সে অনুযায়ী শনিবার (৭ জানুয়ারি) শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার কথা থাকলেও খনি কর্তৃপক্ষের কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে দুপুর ১টার পর থেকে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান ধর্মঘট শুরু করা হয় বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।