শনিবার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানের লেক শোর হোটেলে ‘জঙ্গিবাদ ও ব্যাংকিং খাতের সংস্কার’ বিষয়ক এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকটির আয়োজন করে রিজিওনাল অ্যান্টি টেরোরিস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (রাত্রি)।
আবুল কালাম আজদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরে আমরা জাতীয় প্রেসক্লাবে নারী সাধারণ সম্পাদক পেয়েছি, ফরিদা ইয়াসমিনকে। চার বছর আগে সাংবাদিকদের কোর কমিটিতে ফরিদা ইয়াসমিনের নাম আমি প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু উদ্ধার করতে পারিনি’।
তিনি বলেন, কিন্তু চার বছর পর মনোনয়ন পাওয়ার পরও আমাদেরই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার লোকজনই তার বিরোধিতা করেছেন।
বাসস এমডি বলেন, ভোটের সময়ও দেখা গেছে, নির্বাচনের জন্য মনোনীত হয়েছেন, কিন্তু তিনি যেন পাশ না করতে পারে এমন আচরণ দেখা গেছে তাদের মধ্যে। এটি জামায়াত শিবির করেনি। আমরাই করেছি। আমাদের লোকজন করেছে।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, যতো জঙ্গি সংগঠন আছে তাদের অর্থদাতা ছিলো ইসলামী ব্যাংক। সকল জঙ্গি সংগঠনের হিসাব আছে ইসলামী ব্যাংকে। ইসলামী ব্যাংকে যে অবয়ব আছে এটি যদি বহাল থাকে তাহলে আমরা কোনো পরিবর্তন দেখতে পাবো না। এতোদিন ইসলামী ব্যাংকে সংখ্যালঘু ও নারী নিয়োগ না পাওয়ার বিষয় ছিল। বর্তমান চেয়ারম্যান কথা দিয়েছেন যোগ্যতা সম্পন্ন হলে সংখ্যালঘু ও নারী নিয়োগের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, হলি আর্টিজানের ঘটনায় আমরা শঙ্কিত হয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষতা, যোগ্যতা ও প্রজ্ঞা আজ বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। যে কয়কজনকে বিশ্বনেতা ধরা হয় তার মধ্যে শেখ হাসিনা একজন। তার যোগ্যতা দিয়ে বাংলাদেশকে যে পর্যায়ে নিয়ে গেছেন এটি আমাদের গর্ব করার বিষয়।
এতে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক একে আজাদ চৌধুরী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, ড. হাফিজুর রহমান কাজন, ড. জিনাত হুদা, বাংলাদশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম।
সঞ্চালনা করেছেন সংবাদভিত্তিক টিভি চ্যানেল ‘নিউজ২৪’ এর আনোয়ার সাদি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৭
এসই/এমএন/এমআইএস/ইইউডি/বিএস