আইএমইডি সূত্র জানায়, তবে বাস্তব অগ্রগতি কিছুটা বেশি হতে পারে। কারণ, প্রকল্পের কিছু কিছু অঙ্গের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে, হয়তো ঠিকাদারের প্রকল্পের বিল পরিশোধ করতে বিলম্ব হয়েছে।
শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দূষণের হাত থেকে বুড়িগঙ্গাসহ রাজধানীকে রক্ষায় হাজারীবাগ থেকে চামড়া প্রক্রিয়াজাত কারখানাগুলো (ট্যানারি) সরিয়ে সাভারে শিল্পপার্ক নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয় ২০০৩ সালে। নানা ধাপে বাড়ানোর পর সর্বশেষ এ বছরের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। শুরুতে প্রকল্পের মোট ব্যয় ছিলো ১৭৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, বর্তমানে যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা। তবে বেঁধে দেওয়া সময়ে প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হওয়ায় মেয়াদ ও ব্যয় আরও বাড়ানোর চিন্তা ভাবনা করছে মন্ত্রণালয়।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম প্রধান মোহাম্মদ তারারফ হোসেন ফরাজী বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রকল্পের কাজের ক্ষেত্রে তেমন কোনো সমস্যা নেই। তবে আমাদের হাতে সময় আছে মাত্র জুন পর্যন্ত। কাজ এখনও অনেক বাকি। আমার মনে হয় না, এ সময়ে প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ করতে পারবো। মেয়াদ আরও বাড়াতে হবে। কতোটা সময় বাড়িয়ে কাজ সম্পূর্ণ করা যায়, সে চিন্তা ভাবনা করছি’।
সূত্র জানায়, প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা 'সেন্ট্রাল ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট' বা সিইটিপি এবং ডাম্পিং ইয়ার্ড নির্মাণ কাজ চলতি বছরের মধ্যেই শেষ হচ্ছে না। ১৭ একর জমিতে এটি চলমান। এ কাজের বাস্তবায়ন নিয়ে নতুন জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় ২০৫টি প্লটে ১৫৫টি শিল্প ইউনিট নির্মাণ কাজেও বিলম্ব হচ্ছে।
সব মিলিয়ে হাজারীবাগ থেকে সাভারে ট্যানারি স্থানান্তর নিয়েও নতুন জটিলতা তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা উভয় সংকটে পড়েছি। একদিকে হাজারীবাগ এলাকাবাসী ক্ষেপে আছেন। তারা দ্রুত তাগাদা দিচ্ছেন, ট্যানারি শিল্প এখান থেকে সরিয়ে নিতে। অন্যদিকে সাভারে শিল্পপার্কের কাজও সম্পূর্ণ হয়নি। আমরা কিভাবে সেখানো যাবো? তারপরও প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ করার দায়িত্ব সরকারের’।
শাহিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই জানতাম, বেঁধে দেওয়া সময়ে প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হবে না। তারপরও বলবো, যেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হয়। বার বার প্রকল্পের সময় যেন না বাড়ে’।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর