ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি বাণিজ্য বন্ধ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৭
বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি বাণিজ্য বন্ধ বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি বাণিজ্য বন্ধ

বেনাপোল (যশোর): ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন দাবির মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা ধর্মঘটে দেশের বৃহত্তম বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।

ফলে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে প্রায় ৫ শতাধিক ট্রাক পণ্য নিয়ে আটকা পড়েছে। তবে দিনভর এ পথে ভারতের সঙ্গে রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানা গেছে।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরের পর থেকে কোন ঘোষণা ছাড়ায় হঠাৎ করে এ পথে আমদানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের কার্গো বিষয়ক সম্পাদক মাহাবুব হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বিভিন্ন সমস্যার কারণে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ব্যবসায়ীরা আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে দুর্ভোগ পোহাচ্ছিলেন।

বিশেষ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের ইন্টারনেট সংযোগ অবস্থা দুর্বল থাকায় সার্ভার অচলে প্রতিনিয়ত পণ্য খালাস কার্যক্রমে বাধা সৃস্টি হচ্ছিল। অবকাঠামো সুবিধা না বাড়িয়ে কাস্টমসের পুরানো ভবনের কার্যক্রম নতুন ভবনে নিতে ব্যবসায়ীদের চাপ প্রয়োগ করা, বন্দরের পার্কিংয়ে ট্রান্সপোর্ট কর্মচারীদের প্রবেশে বাধা সৃস্টি করা, পাকিং চার্জ বাড়ানো হয় অযৌতিক হারে। এসব অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে বিভিন্ন সময় ব্যবসায়ীরা কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন। এসময় তারা সমাধানের
আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আমদানি বাণিজ্য বন্ধ করে দেন।

বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (ইনেসপেক্টর) তিতুমির আহম্মেদ বাংলানিউজকে জানান, আমদানি বন্ধ থাকলেও ভারতের সঙ্গে দিনভর রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিকভাবে চলেছে। ৭৮ ট্রাক রফতানি পণ্য ভারতে প্রবেশ করেছে। আমদানি হচ্ছেনা দেখে বিকেলে তারা পেট্রাপোল
কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এসময় তারা বলেছেন ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট করায় আপাতত বেনাপোল বন্দরে পণ্য পাঠানো সম্ভব হচ্ছেনা।

বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি সমিতির সহ সভাপতি আমিনুল হক জানান, দাবি আদায়ে যে কোন কর্মসূচি ব্যবসায়ীরা ডাকতে পারেন। কিন্তু বিষয়টি যদি আগে থেকে তারা আমাদের একটু জানায় তাহলে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের ক্ষতির সম্ভবনা কম থাকে। এখন ওপারে জরুরি অনেক আমদানি পণ্য আটকে রয়েছে।

আগে ধর্মঘটের খবর পেলে আমদানি স্থগিত করা হতো। এখন আটকে থাকা পণ্যের ট্রাক ভাড়াসহ অনেক ডেমারেজ বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের বহন করতে হবে।

এদিকে আমদানি বাণিজ্য বন্ধ থাকায় বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে প্রায় ৫ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক আটকে রয়েছে। এসব আটকে থাকা পণ্যের মধ্যে মেশিনারি, গার্মেন্টস সামগ্রীর কাঁচামাল ও মাছ, পানসহ বিভিন্ন ধরনের পচনশীল পণ্য রয়েছে। দ্রুত সমাধানে না পৌঁছালে ব্যবসায়ীদের বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

উল্লেখ্য, সপ্তাহে শুক্রবার ছাড়া অন্যান্য সব দিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে দুপুর ১২টায় রফতানি বাণিজ্য ও সকাল ৮টা থেকে আমদানি বাণিজ্য শুরু হয়। বাণিজ্য শেষ হয় সন্ধ্যা ৭টায়। প্রতিবছর এ বন্দর থেকে সরকার প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৭
এজেডএইচ/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।