ঢাকা: ২০১০-১১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজার থেকে আয় ও প্রাথমিক শেয়ারদরের ওপর কর আরোপে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি)। এ ধরনের কর আরোপে আরও এক বছর সময় চেয়েছেন তারা।
তবে রাজস্ব বাড়াতে নতুন নতুন খাতে কর আরোপ ও কর প্রশাসনকে আধুনিকায়নের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে বিএপিএলসি।
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে বাজেটের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা।
বাজেটে পুঁজিবাজারে কোম্পানি শেয়ারহোল্ডার ও পরিচালকদের আয়ের ওপর ৫ শতাংশ কর ও প্রাথমিক শেয়ারমূল্যের (প্রিমিয়াম) ওপর ৩ শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাব প্রত্যাহার করার দাবি জানান তারা।
এছাড়াও কোম্পানির শেয়ার লেনদেন থেকে আয়ের ওপর প্রস্তাবিত ১০ শতাংশ কর কমিয়ে ৫ শতাংশ করার দাবি জানানো হয়।
বিএপিএলসি’র সভাপতি ও বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত তিন বছর ধরে পুঁজিবাজারের সূচক অনেকটা স্থবির থাকলেও এবছরের জানুয়ারি থেকে বাজার ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখি। এ অবস্থায় পুঁজিবাজারের আয় ও শেয়ারদরের ওপর কর আরোপ এই গতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। ’
বাজারের এই গতি অব্যাহত রাখতে আরো এক বছর কর আরোপ না করার দাবি জানান তিনি।
প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতি লেনদেনে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর ওপর উৎসে কর লাখে ২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০ টাকা করা হয়েছে উল্লেখ করে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘এটা পুঁজিবাজারের অগ্রগতিতে একটি বড় বাধা হিসেবে কাজ করবে। ’
তিনি বলেন, এখন ব্রোকারেজ হাউজগুলোর দক্ষতা বাড়ানোর সময়। এ অবস্থায় কর আরোপ করা হলে এগোনো অসম্ভব হয়ে পড়বে।
এক্ষেত্রে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর ওপর উৎসে কর লাখে ২৫ টাকা বহাল রাখা ও রাজস্ব বাড়ানোর জন্য প্রতি বিও অ্যাকাউন্টের ওপর বার্ষিক ৫০০ টাকা কর ধার্য করার প্রস্তাব করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরিফ খান ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতি শাকিল রিজভী।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ভাইস চেয়ারম্যান ওয়ালিউর মারুফসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী ও বিএপিএলসির কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১০।
এমএএম/এমএমকে/জেএম