অথচ দেড় মাস আগে ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি মরিচ।
বিএনপি বাজারের খুচরা মরিচ বিক্রেতা ফুরকান বলেন, উত্তরাঞ্চলের বন্যায় মরিচসহ সকল ধরনের সবজি নষ্ট হয়েছে।
তবে পাইকারি বাজারে মানভেদে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি হচ্ছে শুক্রবার (১৩ অক্টোবর)। ফলে পাইকারি থেকে খুচরায় দামের পার্থক্য ৮০ থেকে ১০০ টাকা।
কারওয়ানবাজার পাইকারি মরিচের আড়ত ঘুরে জানা গেছে, ভারতের নাগপুর, কানপুর ও বিহারের মরিচ আমদানি এখন পুরোদমে চলছে। কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহের মরিচও আসছে। উত্তরাঞ্চলের বন্যা, অতিবৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর রাজশাহী, বগুড়া ও রংপুরের মরিচের আমদানি নেই বললেই চলে। প্রায় দু’মাস আগে থেকে এসব এলাকা থেকে মরিচ আসা বন্ধ হয়ে গেছে। ফরিদপুর অঞ্চলের মরিচের মৌসুমও শেষ হয়েছে গত আগস্ট মাসে। তবে ভারতের চেয়ে দেশি মরিচের দাম বেশি। দেশি মরিচ ১২০ টাকা ও ভারতের মরিচের দর ১০০ টাকা। তবে পচা ও নিম্নমানের মরিচ পাইকারি বাজারে ৮০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, ১৫ দিন আগে প্রায় বন্ধই ছিলো এলসিতে আমদানি। এখন দিনাজপুরের হিলি, সাতক্ষীরার ভোমরা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের মরিচ আসায় দাম কিছুটা কমেছে। তারপরও চাহিদা অনুসারে সরবরাহ হচ্ছে না।
আগামী ১৫ নভেম্বর জামালপুর-সরিষাবাড়ির মরিচ ঢাকায় আসা শুরু হলে দাম কমবে বলেও জানান তারা।
কারওয়ানবাজার পাইকারি আড়তের ৩৯ নম্বর ঘরের বিক্রেতা নাসির উদ্দিন দৈনিক ৫-৬ টন মরিচ বিক্রি করেন। তার দোকানের সব মরিচ কুষ্টিয়া অঞ্চল ও ভারতের।
নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, বন্যা ও বৃষ্টিতে মরিচ নষ্ট হয়ে গেছে। একটু ঝড়-বৃষ্টি ও জমিতে পানি জমলেই মরিচ গাছ মারা যায়। ফলে এখন দেশি মরিচ বলতে কুষ্টিয়া অঞ্চলের। ১৫ নভেম্বর থেকে জামালপুরের মরিচ আমদানি শুরু হবে। তখন আশা করা যায়, দাম একেবারেই কমে আসবে।
জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এবার জেলার ৯০০ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে, উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ১৫ হাজার মেট্রিক টন। ফলন ভালো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। নভেম্বর-জানুয়ারি মৌসুমে এ মরিচ ঢাকায় আসবে, তখন দামও কমবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর
** পেঁয়াজ-আদার ঝাঁজ বেড়েছে
** বেশিরভাগ সবজির দামই ৬০ টাকার ওপরে