বৃহস্পতিবার ( ১৯ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মোহাম্মাদপুর কাঁচা বাজার, পশ্চিম রাজাবাজার ও পূর্ব-রাজাবাজারের কাঁচা বাজার ঘুরে এমন ধারণাই পাওয়া গেল।
সবজির খুচরা বাজারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ১৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, ধনিয়াপাতা ২০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, শিম ১৬০ টাকা, শসা ৫০ টাকা ও আলো ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজির বাজারে দামের এই অসহনীয় চড়া ভাব চলছে প্রায় গত এক মাস ধরেই। অন্যদিকে বিক্রেতারাও গত এক মাস ধরে এই আকাশছোঁয়া মূল্য বৃদ্ধির নানা রকম কারণ তুলে ধরছেন। তাদের মতে, বন্যা ও বৃষ্টির কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সবজির ক্ষেত ব্যাপক হারে নষ্ট ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই চাহিদা অনুযায়ী যোগান নেই। তাই মূল্য বেশি সবজির।
বিক্রেতারা আরও একটা মনখারাপ করা কথা বললেন, আর তা হলো, শীতের আগে সবজির দাম কমার কোনো সম্ভাবনাই নাকি নেই। তবে এটা বলে তারা অতিমুনাফা করার উপায় খুঁজছেন—এমন দুরভিসন্ধিও উড়িয়ে দেয়া যায় না।
মোহাম্মাদপুর কাঁচাবাজারের সবজিবিক্রেতা মাসুম খান বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে সবজির দাম বেশি কেন, এখন সবাই মোটামুটি জানে। তবে শীতের শুরুতে নতুন উৎপাদিত সবজি এলে বাজারে দাম কমে যাবে। কিন্তু এর আগে সবজির দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।
পশ্চিম রাজাবাজার কাঁচা বাজারের সবজিবিক্রেতা জসিম বাংলানিউজকে বলেন, বন্যার ক্ষয়ক্ষতির কারণে সবজি বাজার এখনো স্থিতিশীল হয়নি। তবে শীতের সবজি বাজারে এলেই দাম অনেক কমে যাবে।
চালের বাজারে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় ১ থেকে ৩ টাকা করে কমেছে চালের দাম। সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি মিনেকেট ৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ছিল ৬২ টাকা করে। নাজিরশাইলও ১ টাকা কমে ৬৭ টাকা। বিআর-২৮ ৩ টাকা কমে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা ও স্বর্ণা ও পারিজা ৩ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকায়।
অন্যদিকে পেঁয়াজ ছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে আর সব নিত্যপণ্য ও মাছ-মাংসের দাম।
সর্বশেষ খুচরা বাজারদর অনুযায়ী দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। গত সপ্তাহে ছিল ৫০ টাকা। আমদানিকরা পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। গত সপ্তাহে ছিল ৪৫ টাকা। এছাড়া দেশি রসুন ৮০ টাকা, আমদানি করা রসুন ৮৫ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১০০ টাকা, আমদানি করা ডাল ৭০ টাকা, আমদানি করা আদা ১০০ টাকা দরে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে।
সর্বশেষ বাজারদর অনুযায়ী প্রতিকেজি বড়, মাঝারি ও ছোট চিংড়ি যথাক্রমে ৭০০, ৬৫০ ও ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি রুই মাছ ১৮০-৩০০
টাকায়,কাতলা মাছ ২০০ টাকায়,রূপচাঁদা ৭২০ টাকায়, শিং মাছ ৪০০টাকায় ও পাঙ্গাশ মাছ ১২০ টাকায়, তেলাপিয়া ১৩০ টাকায়, বোয়াল ২৮০ টাকায় এবং সিলভার কার্প ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারে দর রয়েছে গত সপ্তাহের মতোই। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪৮০-৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০- ৭৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগী ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কর্কমুরগী সাইজ অনুযায়ী ১৫০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৭
এমএসি / জেএম