ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সাভার ট্যানারিপল্লীর মেয়াদ বাড়ছে আরও দুই বছর

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৭
সাভার ট্যানারিপল্লীর মেয়াদ বাড়ছে আরও দুই বছর এখনো অনেক কাজ বাকি সাভার ট্যানারিপল্লীর (ফাইল ফটো)

ঢাকা: দীর্ঘ ১৫ বছরে সাত দফায় মেয়াদ ও ব্যয় বাড়িয়েও পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি সাভার চামড়া শিল্পনগরী। নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ করতে অষ্টমবারে আরও দুই বছর মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে যাচ্ছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা শিল্প মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)।

ফলে ‘চামড়া শিল্পনগরী, ঢাকা’ প্রকল্পের ফের সংশোধনী আসছে। সবকিছু চূড়ান্ত করে অনুমোদনের লক্ষ্যে সংশোধিত প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) মঙ্গলবারের (০৭ নভেম্বর) সভায় উপস্থাপন করতে যাচ্ছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষের ওই সভায়ই প্রকল্পটি সংশোধিত হবে বলে আশাবাদী পরিকল্পনা কমিশনের সহকারী প্রধান (শিল্প ও শক্তি বিভাগ) গোলাম মোছাদ্দেক।

রাজধানীর অদূরে সাভারে ১৭৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০০৩ সালে ‍অনুমোদন পাওয়া এ প্রকল্পের সম্পূর্ণ নির্মাণ কাজ ২০০৫ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কার্যত তা হয়নি। দফায় দফায় মেয়াদের পাশাপাশি ব্যয়ও বেড়েছে ছয়গুণ।

বর্তমানে এক হাজার ৭৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার এ প্রকল্প সর্বশেষ ২০১৭ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়িত হওয়ার কথা ছিলো। তবে এ দফায় ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত বর্ধিত মেয়াদেই সম্পূর্ণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিসিক।  

বিসিকের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ইফতেখারুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘হাজারীবাগ থেকে সাভারে ট্যানারিশিল্প স্থানান্তরে নানা ঝামেলা লেগেই আছে। তবে আমাদের পক্ষ থেকে তেমন সমস্যা নেই, চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানই প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করতে পারেনি। যে কারণে বার বার মেয়াদ ও ব্যয় বেড়েছে। তবে এবার ব্যয় বাড়ছে না। আশা করছি, আর সময়ও বাড়বে না’।
 
তবে চলতি বছর পর্যন্ত চামড়া শিল্পপার্কের কাজের আর্থিক অগ্রগতি ৫৪ শতাংশ, যা টাকার অঙ্কে ৫৮৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। প্রকল্পের আওতায় এখনও ৪৯৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকা খরচ করা হয়নি বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)।
 
পরিকল্পনা কমিশনের সহকারী প্রধান (শিল্প ও শক্তি বিভাগ) গোলাম মোছাদ্দেক বাংলানিউজকে বলেন, ‘ট্যানারিপল্লীটির অনেক কাজ এখনো বাকি। কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) ও ডাম্পিং ইয়ার্ড ছাড়াও বেশ কয়েকটি প্লট, ৮৩ হাজার ৬৯৬ বর্গফুট অভ্যন্তরীণ রাস্তা, ১২ হাজার রাউন্ড মিটার ড্রেন ও একটি পানি শোধনাগারের নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। ফলে মেয়াদ না বাড়ানো হলে প্রকল্পটির সঠিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হবে না।

১৭ একর জমিতে নির্মাণাধীন সাভার ট্যানারিপল্লীর ২০৫টি প্লটে থাকছে ১৫৫টি শিল্প ইউনিট। সেখানে স্থানান্তরে হাজারীবাগের সকল ট্যানারি গত এপ্রিল মাসেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে সাভারে প্রকল্পের কাজ শতভাগ সম্পূর্ণ না হওয়ায় সব ট্যানারি স্থানান্তর কঠিন হচ্ছে বলে দাবি করছেন মালিকরা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।