ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চালের দাম লাফিয়ে বাড়লেও কমছে ধীর গতিতে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৭
চালের দাম লাফিয়ে বাড়লেও কমছে ধীর গতিতে চালের দাম লাফিয়ে বাড়লেও কমছে ধীর গতিতে

ঢাকা: কয়েক মাস ধরেই অস্থির চালের বাজার। বিদেশ থেকে চাল আমদানি করেও বাজারে স্থিতিশীল পরিবেশ ফেরাতে ব্যর্থ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

চালের দাম বৃদ্ধির সময় এক লাফে কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা বেড়ে যায়। তবে কমার সময় সেই চিত্র পাওয়া যায় না।

বৃহস্পতিবার (০৯ নভেম্বর) রাজধানীর চালের পাইকারি বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া যায়।

পাইকারি বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১ থেকে দুই টাকা কমলেও খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েনি।

চালের দাম বৃদ্ধির পরিসংখ্যান দেখতে বেশি দূরে যেতে হবে না। চলতি বছরের শুরু দিকে অর্থাৎ মার্চ-এপ্রিল মাসে যে মোটা চাল ৩২ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। একই চাল পরের মাসে অর্থাৎ মে মাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৪০ থেকে ৪২ টাকায়।

পরে আরেক দফা দাম বেড়ে তা দাঁড়ায় ৪৫ থেকে ৪৬ টাকায়। পাঁচ মাসের ব্যবধানে মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১৪ টাকা।

যা মণ প্রতি বেড়েছে ৫৬০ টাকা। এতো গেলো শুধু মোটা চালের কথা। মোটা চালের সঙ্গে দাম বেড়েছে মিনিকেট, নাজির, চিনিগুড়াসহ প্রত্যেক প্রকারের চালের বাজার কয়েক মাস ধরে লাগামহীনভাবে বেড়েছে।

গত সপ্তাহেও মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা দরে। তবে বর্তমানে কিছুটা কমে আগের বাড়তি দামেই চলছে মোটা চাল বিক্রি। বর্তমানে মোটা চাল ৪৪ টাকা থেকে ৪৬ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও কারওরান বাজারের চালের পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৫৮ টাকা থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পারিজাত ৪৩ টাকা, চিনিগুড়া ৮৫ টাকা, কাটারি ৬২, ছিদ্র কাটারি ৭৫ টাকা, বাসমতি ৭২ থেকে ৭৩ টাকা, নাজির ৬০ থেকে ৬৫, পাইজাম ৪২ থেকে ৪৩ টাকা। সপ্তাহভেদে প্রত্যেক চাল কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা কমছে পাইকারি বাজারে। তবে খুচরা বাজারে এর প্রভাব খুব একটা লক্ষ্য করা যায়নি।

চালের দাম বাড়া ও কমার হারের এই পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যায়, দাম বাড়ছে চক্রবৃদ্ধি হারে আর কমছে জ্যামিতিক হারে।

চালের দাম নিয়ে কথা হয় কারওরান বাজারের আল্লাহর দান রাইস এজেন্সির মালিক নাজির আহমেদ তালুকদারের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘গত সপ্তাহের চাইতে প্রত্যেক চালের দাম কিছুটা কমেছে। ’

সহসাই আরও কমবে কী না জানতে চাইলে বলেন, কমলেও খুব বেশি কমবে না। আর যদি বিদেশ থেকে অধিক পরিমাণ চাল আমদানি করা হয়, তাহলে হয়তো দ্রুতই চালে দাম পরে যাবে। ’

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের নাহার রাইস এজেন্সির মালিক আবু হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, চালের দাম কমতে শুরু করেছে, তবে খুব বেশি কমবে না। তার যুক্তি এবার বন্যায় বেশি ক্ষতি হয়েছে, যে কারণে ধান উৎপাদন কিছুটা কম, সঙ্গত কারণেই দাম খুব বেশি কমবে না।

বাংলাদেশ সময়: ০৬০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৭
এসএম/এএটি/এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।