ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মোংলায় ভিড়তে পারবে ৫০ হাজার টনের বিশাল জাহাজ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৭
মোংলায় ভিড়তে পারবে ৫০ হাজার টনের বিশাল জাহাজ ছবি: প্রতীকী

ঢাকা: মোংলা বন্দর চ্যানেলের অ্যাংকোরেজে  ১০ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের জন্য আউটার বার এলাকায় নাব্যতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ফলে বন্দরে ৫০ হাজার টনের বিশাল জাহাজ অনায়াসেই ঢুকতে পারবে। এই এক জাহাজের পণ্য পরিবহণ করতে প্রয়োজন হবে দুই হাজার ট্রাক বা লরি। বর্তমানে এ বন্দরে ২০ থেকে ৩০ হাজার টনের জাহাজ ঢুকতে পারে।

মোংলা বন্দরের অবস্থানগত কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ ভারত, নেপাল এবং ভূটানের মালামাল হ্যান্ডলিং ও পরিবহনের সহজ  সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অ্যাংকোরেজ এলাকায় ১০ দশমিক ৫ মিটারের ঊর্র্দ্ধে জাহাজ বার্থের সুযোগ থাকলেও আউটার বার এলাকায় কম গভীরতার কারণে ৮ দশমিক ৫ মিটারের অধিক ড্রাফটের জাহাজ প্রবেশ করতে পারে না।

  এ জন্য মোংলা বন্দর চ্যানেলে গভীর ড্রেজিং করা হবে।

‘মোংলা বন্দর চ্যানেলের আউটার বারে ড্রেজিং’ প্রকল্পের আওতায় এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ৭১২ কোটি ৫০ লাখ টাকায় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ড্রেজিং শেষ করা হবে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের (মবক) চেয়ারম্যান কমডোর এ কে এম ফারুক হাসান বাংলানিউজকে বলেন, ভারত, নেপাল ও ভূটান থেকে মালামাল হ্যান্ডলিংয়ের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা আছে এই বন্দরে। কিন্তু আউটার বারের গভীরতা কম হওয়ায় বড় জাহাজ বন্দরে ঢুকতে পারে না। তাই নাব্যতা বৃদ্ধির ‍উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।  

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদনের কথা রয়েছে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ (মবক)।

প্রকল্পের আওতায়, আউটার বার এলাকায় ১০৩ লাখ ৯৫ হাজার ঘনমিটার  ড্রেজিং, হাইড্রোলিক বিশেযজ্ঞের  পর্যবেক্ষণ, মডেলিং এবং প্রভাব মূল্যায়নও করা হবে। এর পাশাপাশি প্রকল্পের আওতায় একটি  হাইস্পিড বোটও কেনা হবে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ (মবক) সূত্র জানায়, ফেয়ারওয়ে বয়া থেকে প্রায় ১৩১ কিলোমিটার উজানে পশুর নদীর পূর্ব তীরে মোংলা বন্দর অবস্থিত। বঙ্গোপসাগর থেকে মোংলা বন্দরের চ্যানেলের প্রবেশ মুখে কম গভীরতা সম্পন্ন একটি প্রশস্ত নৌ-পথ রয়েছে যা আউটার বার নামে পরিচিত। এ এলাকায় স্বাভাবিক জোয়ারের সময় সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ চলাচল করতে পারে।

পদ্মা সড়ক সেতু, রেল সেতু নির্মাণ, খুলনা-মংলা পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন, খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণ, মোংলা বন্দরের নিকটে  রামপালে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ এবং মোংলা বন্দর এলাকায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কার্যক্রম বাস্তবায়িত হলে বন্দরের ব্যবহার বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে।

তাই মোংলা বন্দরের কার্যক্রম সুষ্ঠু ও দক্ষতার সাথে পরিচালনার জন্য ১০ দশমিক ৫ মিটার  ড্রাফটের জাহাজ হ্যান্ডেল করা প্রয়োজন। এ প্রেক্ষিতে পশুর চ্যানেলের আউটার বার এলাকায় প্রয়োজনীয় ড্রেজিংয়ের জন্য বিবেচ্য প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৭
এমআইএস/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।