বিক্রেতাদের বক্তব্য, যে পর্যন্ত দেশি পেঁয়াজের নতুন ফলন বাজারে না আসছে, সে পর্যন্ত দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। চলতি মাসের শেষদিকে কিংবা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাজারে দেশি নতুন পেঁয়াজ আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা, আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা। অন্যদিকে আমদানি নির্ভর পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, খুচরা বাজারে যা বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা।
তবে কারওয়ান বাজারের মতো রাজধানীর অন্য বাজারগুলোতে খুচরা দরের চিত্র এক নয়। রাজধানীর অন্য বাজারগুলোতে দেখা যায়, প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা ও আমদানি পেঁয়াজ ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজের পাইকারি বিক্রেতা মো. শহীদ বাংলানিউজকে বলেন, আমদানি পেঁয়াজের চাহিদা অনুযায়ী যোগান হচ্ছে না। কিন্তু বাজারে ভারতীয় নতুন পেঁয়াজ চলে এসেছে। তারপরেও দাম কমছে না। কারণ আমদানি পেঁয়াজ দেশীয় বাজারের চাহিদা মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত নয়। তাই দেশি নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসলেই দাম কমবে।
বাজারের খুচরা বিক্রেতা মো. মামুন বাংলানিউজকে বলেন, দেশি নতুন পেঁয়াজ বাজারে চলে আসলে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম নেমে আসবে ২৫-৩৫ টাকায়। তবে এজন্য ক্রেতাদের আরও এক মাসের মতো অপেক্ষা করতে হবে।
এদিকে ছুটির দিনে বাজার করতে আসা ক্রেতাদের মুখেও একই প্রশ্ন, কবে কমবে পেঁয়াজের দাম?
কারওয়ান বাজারে বাজার করতে আসা মো. শাহিনুর বাংলানিউজকে বলেন, ২৫-৩০ টাকা কেজির পেঁয়াজ ৭০ টাকায় কিনতে আর ভালো লাগছে না। এতোদিন ধরে দাম বেড়ে আছে, কমার কোনো লক্ষণই নেই। বিক্রেতারা আসলেই যেসব অজুহাত দেখাচ্ছে তা সত্যি কিনা কে জানে। এসব বিষয় মনিটরিং করার তো কেউ নেয়।
প্রায় দুই মাস আগেও ২৫-৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া আমদানি ও দেশি পেঁয়াজ দ্বিগুণ বেড়ে ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের এ মূল্য বৃদ্ধিতে ক্রেতারা অসন্তুষ্ট হলেও সরকারের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। যা নিয়ে আক্ষেপ ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের।
পাইকারিতে দাম কমলেও খুচরায় প্রভাব নেই
বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৭
এমএসি/জেডএস