ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

১৫ বছর পর রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী রেশম কারখানা খুলছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৭
১৫ বছর পর রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী রেশম কারখানা খুলছে রাজশাহী রেশম কারখানা পরিদর্শন করছেন ফজলে হোসেন বাদশা এমপি; ছবি-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহী: দীর্ঘ ১৫ বছর বন্ধ থাকার পর রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী রেশম কারখানা অবশেষে খুলতে যাচ্ছে। রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার প্রচেষ্টায় আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে আবারও উৎপাদনে যাচ্ছে এই রেশম কারখানা।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বন্ধ থাকা রেশম কারখানাটি পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

বাদশা বলেন, ‘আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে রেশম কারখানা খুলবে।

তবে তিন স্তরে কারখানাটি উৎপাদনে যাবে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে পুরোপুরি চালু হবে কারখানাটি।

ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, রাজশাহীবাসীর দাবি ছিলো, ঐতিহ্যবাহী রেশম কারখানাটি খুলে দেওয়ার। অবশেষে রাজশাহীবাসীর দাবি পূরণ হতে চলেছে। আর এর মাধ্যমে রাজশাহী তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে।

তিনি আরও বলেন, ‘রেশম কারখানা বন্ধ হওয়াটা দুর্ভাগ্য ছিলো রাজশাহীবাসীর জন্য। আবার সফলতা আসবে রাজশাহীবাসীর জন্য। রেশম কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে আমরা অনেক আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। এবার তা সফল হতে যাচ্ছে'।

সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা আরও বলেন, ‘কারখানাটি চালু হলে রাজশাহী অঞ্চলের বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে। একই সঙ্গে রেশম গবেষণা কেন্দ্রেও একটি মডেল কারখানা ও প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হবে। এতে করে বাইরের মানুষ এসে সত্যিকারের রাজশাহী সিল্ক সম্পর্কে অবহিত হতে পারবে’।

রেশম কারখানা পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নুর-উর-রহমান, রাজশাহী রেশম কারখানার পরিচালক আনিসুল হক ভুঁইয়া। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন রেশম বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও।

রাজশাহী নগরের শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকায় ১৯৬১ সালে সাড়ে ১৫ বিঘা জমির ওপর স্থাপিত হয় রাজশাহী রেশম কারখানা। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার প্রায় ১০ কোটি টাকার নতুন যন্ত্রপাতি কিনে কারখানাটির আধুনিকায়ন করে। লোকসান থাকলেও কোম্পানিটি তখন ভালোই চলছিল।

কিন্তু মূলধন না থাকার অজুহাতে বিএনপি সরকার ২০০২ সালের ৩০ নভেম্বর কারখানাটি বন্ধ করে দেয়। ওই সময় কারখানাটির কাঁধে ছিল ১ কোটি ১৩ লাখ টাকার ঋণের বোঝা। ওই সময় সেখানে কর্মরত ছিলেন প্রায় ৩০০ স্থায়ী শ্রমিক। বন্ধের পর স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে চার শতাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েন।

পাশাপাশি বিপাকে পড়েন আরো প্রায় ৫০ হাজার রেশমচাষি। সে সময় আন্দোলন করেও কারখানাটি চালু করতে পারেনি রাজশাহীবাসী। বিক্রির জায়গা না পেয়ে এ অঞ্চলের রেশম চাষিদের অনেকেই চাষ কমিয়ে দিতে বাধ্য হন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৭
এসএস/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।