ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

'আগুনে হাত দেবেন না'

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৭
'আগুনে হাত দেবেন না' পথসভায় বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি/ছবি: বাংলানিউজ

কিশোরগঞ্জ থেকে: বাংলাদেশ থেকে এর আগেও বিড়ি শিল্প ধ্বংসের চক্রান্ত করে পাকিস্তান সরকার ব্যর্থ হয়েছে। ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোও কম চেষ্টা করেনি। তবে তাদের কেউ-ই সফল হতে পারেনি। আমি অর্থমন্ত্রীকে বলবো, আগুনে হাত দেবেন না। আমরা সারাদেশে ১৫ লাখ বিড়ি শ্রমিক রয়েছি। আমাদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করবেন না।

রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে কিশোরগঞ্জের গাইটাল বাসস্ট্যান্ডে এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি।

তিনি বলেন, বিড়ি শিল্পকে বাঁচাতে যা যা করণীয় আমরা করবো।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী গরিবের কষ্ট বোঝেন। তার কাছে আমাদের দাবি, আমরা লাখ লাখ মানুষ এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত। আপনি আমাদের বাঁচান। তাছাড়া দেশের উন্নয়নে বিড়ি শিল্প যা করেছে কোনো বিদেশি সিগারেট কোম্পানি তার ছিঁটেফোঁটাও করেনি। সুতরাং, বিড়ি শিল্প আমাদের শিল্প, এই শিল্প আমাদেরই রক্ষা করতে হবে।  

একই সঙ্গে তৃতীয় ও শেষ দফায় উত্তরবঙ্গে রোড শো শেষে আগামী ডিসেম্বরে ঢাকায় মহাসমাবেশ করার ঘোষণাও দেন বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের এ নেতা।

‘বাংলাদেশে আর বিড়ি শিল্প থাকবে না' সম্প্রতি অর্থমন্ত্রীর এ মন্তব্যের প্রতিবাদে দফায় দফায় দেশব্যাপী বিভিন্ন আন্দোলন করছেন বিড়ি শিল্প শ্রমিকরা। এরই অংশ হিসেবে চলতি মাসের ৫ তারিখ থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হয়েছে রোড শো। প্রথম দফায় গত ৫ নভেম্বর  বাগেরহাট থেকে শুরু হয়ে খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, পাবনা হয়ে সিরাজগঞ্জে এসে এ রোড শো ও পথসভা শেষ হয়।

রোববার (১৯ নভেম্বর) দ্বিতীয় দফায় কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে শুরু হয়েছে তাদের এ আন্দোলন। যা আগামী ২৩ নভেম্বর  টাঙ্গাইল জেলা সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হবে। এ পাঁচ দিনে রোড শো-টি ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুরসহ পাঁচ জেলায় পথসভা করবে বলে জানা যায়।

পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের  সাধারণ সম্পাদক এম কে বাঙালি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক হারিক হোসেন, সদস্য শামীম ইসলাম, কিশোরগঞ্জ বিড়ি ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান প্রমুখ।

বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এম কে বাঙালি তার বক্তব্যে বলেন, বিড়ি শিল্প বন্ধ হয়ে গেলে এ শিল্পে যারা নিয়োজিত তারা পথে বসবেন। ব্রিটিশ কোম্পানি ও কিছু অসাধু সরকারি কর্মকর্তারা চক্রান্ত করে এ শিল্পকে ধ্বংস করতে চাচ্ছে। আমরা প্রয়োজনে জীবন দেবো, তবু এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৭
এসআইজে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।